চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

ছবিটির আসল ব্যাখ্যা

অনেকের ফেসবুক টাইমলাইনে মঙ্গলবার থেকে ঘুরছে একটি ছবি। সেখানে দেখা যায়, রিকশাচালক এক বাবার গায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের পোশাক, মাথায় ক্যাপ। সফেদ দাড়িযুক্ত গর্বিত পিতা বসে অাছেন রিকশায়। আর তার সামনেই ছেলের বয়সী এক গ্রাজুয়েট দাঁড়িয়ে তাকে সালাম জানাচ্ছে। অনেকেই ছবিটিকে সমাবর্তনের শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে আখ্যা দেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি। অনেকে ছবিটিকে  ঘিরে দিতে থাকেন আবেগঘন নানা স্ট্যাটাস। কেউ কেউ ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন ‘এটি কনভোকেশনের সেরা ও শ্রেষ্ঠ ছবি। নিশ্চিত সে পৃথিবীর সব থেকে সুখী পিতা, নিজে রিকশা চালিয়ে সন্তানকে পড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। স্যালুট গর্বিত পিতা ও তার সন্তান কে।’

Bkash July

কিন্তু এমন আবেগঘন ক্যাপশনের সাথে ভাইরাল হওয়া ছবিটির আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ছবির আসল ব্যাখ্যা দিয়েছেন ওই ছবির গ্র্যাজুয়েট লিটন মোস্তাফিজ।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন: ‘‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম সমাবর্তনে এ ছবির একটি বিশেষ অংশ গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছবির ঐ অংশটি সম্ভবত বিভিন্ন গ্রুপ হয়ে ব্যক্তি থেকে আরম্ভ করে জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ফটোগ্রাফার শাহরিয়ার সোহাগ গতকাল অপরাজেয় বাংলার সামনে থেকে এ ছবিটি তোলেন। রিকশায় যিনি বসে আছেন তিনি আমাদের গর্বিত একটি অংশ। মনেই হয়নি সে মুহূর্তে তিনি অন্য একটি অংশ। পৃথিবীর আর সব বাবার মতো এ বাবার চোখেও আমি স্বপ্ন খুঁজে পাই। মোটেও মনে হয়নি তার গায়ের ঘাম লাগলে দুর্গন্ধ হয়ে উঠবে আমার গাউন। এমন ঘামের চর্মশরীরে বেড়ে ওঠা আমার। আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীর চাকা এ ‘পিতা’দের ঘামে ও দমে ঘোরে।

Reneta June

আমরা যখন খুব আনন্দ করছিলাম তখন তিনি আনমনা নজরে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। বিষয়টি আমি বুঝে ‘পিতা’কে ডাক দিই। তিনি সাড়া দেন। আমি আমার গাউন, হুড খুলে ‘পিতা’কে পরিয়ে দেই। তারপর ছবি তোলা হয়। একজন গর্বিত গ্রাজুয়েট মনে হচ্ছিলো তখন আমার। এদের রক্ত ঘামানো অর্থেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পেরেছি। এ ‘পিতা’র পোশাক দেখে স্যালুট না করে পারিনি।

এ ছবি তুলে রাতেই ফেইসবুকে পোস্ট করেন ফটোগ্রাফার। ছবিটি ভাইরাল হলে দেখা যায় অনেকেই আমাকে ভুল বুঝছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিটি নিউজ হয়ে গেছে। দুঃখিত আমি যে মুখ ঘোলা করার জন্য তবুও বলি, এসব মানুষের মাথা খালি বলেই আমাদের মাথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হুড! যারা ভুল বুঝেছেন আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি ফটোগ্রাফারের হয়ে। এসব মানুষেরা আমাদের সত্যিকার বাবা-ই। কারণ আমি নিজেও কৃষকের লাঙলের ফালা বেয়ে উঠে এসেছি…।’’

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View