ফুটবল বিশ্বে ইয়ূর্গেন ক্লপের পরিচয় ক্ষুরধার মস্তিষ্কের এক কোচ হিসেবে। সারাক্ষণ মুখে হাসি লেগে থাকে, ক্ষেত্র বিশেষে খানিকটা আধপাগলও বটে! আবেগ, বুদ্ধিমান ও সূক্ষ্ম রসবোধ সম্পন্ন ক্লপ যে কাঁদতেও পারেন সেটার দেখাও মিলল লিভারপুল সমর্থকদের। কেউ কেউ প্রিয় কোচের সঙ্গে আনন্দে ফেলেছেন দুই ফোঁটা চোখের জলও!
বৃহস্পতিবার রাতে ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে চেলসি। এই দুদলের জয়-পরাজয় নিয়ে যতটা চিন্তায় ছিল তাদের সমর্থকেরা, তার অনেক বেশি মনোযোগী ছিল লিভারপুলের লাল সমর্থকরা। মনোযোগ দিয়ে খেলা দেখা সার্থক হয়েছে তাদের, চেলসির কাছে হেরে ৩০ বছর পর লিভারপুলের হাতে শিরোপা ওঠা দেখেছে ম্যানসিটি।
ম্যানসিটি যখন হারছে তখন টিভি সেটের সামনে বসে ১৯৯০ সালের পর লিভারপুলকে শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দেয়ার প্রধান কাণ্ডারি ক্লপ। খেলা শেষ হওয়া মাত্রই ভিডিও কলে ক্লপের অনুভূতি জানতে চেয়েছে স্কাই স্পোর্টস। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন লিভারপুল কিংবদন্তি কেনি ডালগ্লিশ ও গ্রায়েম সোনেস।
ভিডিও কলে ক্লপ আবেগে বাধ দিতে পারেননি। কেঁদেছেন, কাঁদিয়েছেন। শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব ভাগ করে দিয়েছেন সবার মাঝে, ‘কেনি এটা আপনার জন্য। জানি একটা শিরোপার জন্য আপনাদের ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। এটা স্টিভেন জেরার্ডের জন্য, যাকে অনেকটা সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে।’
‘আমার জন্য দলকে অনুপ্রাণিত করা সহজ ছিল, কারণ দলটার গভীর একটা ঐতিহ্য আছে। ৯০ মিনিট ধরে ম্যানসিটির খেলা দেখাটা ছিল ভীষণ ভাবনার।’
‘এটা আমার খেলোয়াড়দের জন্য অনন্য এক অর্জন। গত দুবছর ধরে তারা যা করেছে তা অভাবনীয়।। সত্যি বলতে আমাকে ৩০ বছর অপেক্ষা করতে হয়নি। আমি লিভারপুলে আছি সাড়ে তিন বছরের মতো। গত বছরের আগে আমরা তেমন সুযোগই পাইনি।’
আনন্দ আর খুশিতে করোনা ভুলে দর্শকরা যেন বাইরে বের না হয়ে আসে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করেছেন ক্লপ, ‘আমি আশা করবো আপনারা বাড়িতেই থাকবেন। চাইলে উঠোনেও নামতে পারেন। তবে এরবেশি না। নিজের মন আর হৃদয় দিয়ে শিরোপা উদযাপন করুন। আমি বলছি, ভালো লাগবেই।’