২৬৬ রান তাড়া করতে নেমে ৩৩ রানে ছিল না ৪ উইকেট। সেখান থেকে ১৬ বল আগেই ৫ উইকেটের জয়! এমন ম্যাচের পর বিশ্বের বাঘা বাঘা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ বন্দনায় মেতেছেন।
হার্শা ভোগলে টুইটে লিখেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এতদিন ঘুমিয়ে ছিল। দারুণ একটি সকালে সে জেগে উঠেছে।’
পরবর্তী টুইটে তিনি রীতিমতো বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট ধরেন, ‘এমন একটা সময় ছিল যখন দলগুলো বাংলাদেশে খেলতে যেয়ে তাদের আগে ব্যাট করতে পাঠাতো, যাতে তাড়াতাড়ি খেলা শেষ করা যায়। কিন্তু এখন দিন বদলে গেছে।’
বাংলা ক্রীড়া সাংবাদিকতার কিংবদন্তি গৌতম ভট্টাচার্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা কাব্যিক বিচার, যারা অতীতে এমন কিছু ম্যাচ হেরে গেছে। হ্যাঁ, বাঘরাই শুধু এমন খেলতে পারে।’
ক্রিকবাজের ত্রিসতান হোল্ম তার প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছেন, ‘আসছে বাংলাদেশ যুগ’।
স্টিভেন ফ্লেমিং বাংলাদেশের এই জয়কে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলপচারিতায় তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এটি অন্যতম একটি সেরা ম্যাচ।’
নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার স্কট স্টাইরিশও এমন ম্যাচের পর বাংলাদেশকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারেননি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘অসাধারণ খেলার জন্য অভিনন্দন বাংলাদেশ। বৃষ্টির কথা ভুলে তোমরা উপভোগ করো।’
বাঙালি বংশোদ্ভূত ইংলিশ নারী ক্রিকেটার ঈশা গুহা সাকিব এবং রিয়াদের ২২৪ রানের জুটি দেখে উল্লসিত, ‘ওয়াও, অভিনন্দন সাকিব-রিয়াদ।’
জিওফ বয়কট পর্যন্ত বাংলাদেশের এমন খেলায় বিস্মিত। তিনি লিখেছেন, ‘সাকিব-রিয়াদ দারুণ খেলেছে। অবিশ্বাস্য।’
শহীদ আফ্রিদি রান তাড়ার এই ঘটনাকে ‘ব্রিলিয়ান্ট’ বলছেন।
বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে আরও টুইট করেছেন কুমারা সাঙ্গাকারা, ড্যারেন সামি, মাইকেল ভন এবং ইয়ন বিশপ।
এই চিত্র ম্যাচের পর প্রথম ঘণ্টায়। হলফ করে বলা যায়, সময় যত যাবে, এই জয় নিয়ে আলোচনা তত বাড়বে। এমন দিনে হোক না একটু আলোচনা!