গাজীপুরের একটি জঙ্গল থেকে পুলিশ ইন্সপেক্টর মামুন মিজানের হাত-পা বাঁধা ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, দুই দিন আগে গাজীপুরে একটি মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হন তিনি।
মঙ্গলবার তার মরদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় নিশ্চিত করতে স্বজনদের ডাকা হয়। পরে স্বজনরা গিয়ে মরদেহটি মামুন মিজানের বলে জানান।
এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মামুন মিজানের মরদেহ কালীগঞ্জের নাগরী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হলেও তারা নিশ্চিত হয়েছেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায়।
‘এ কারণে তারা ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করবেন।’
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেজে, রাজধানীর শান্তিনগরে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একটি ট্রেনিং স্কুলে কর্মরত ছিলেন মামুন মিজান।
ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত মামুন ২০০৫ সালে সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) যোগদান করেন। এরপর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দেন। সেখান থেকে ফেরার আগেই ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি লাভ করেন তিনি।
মামুন মিজান রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় তার ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন।