সিলেটে শুক্রবার বোলিংয়ে এলেন দ্বিতীয় ওভারেই। ব্রেক-থ্রুও এনে দিলেন। পরে বারবার তাকেই দরকার পড়ল মাশরাফীর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা যখনই পাখা মেলতে শুরু করেন, তুরুপের তাস হয়ে ওঠা মেহেদী হাসান মিরাজকে ডেকেছেন অধিনায়ক। প্রতিদানে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিংটাই করে ফেললেন টাইগার অলরাউন্ডার।
মিরাজের উপর কতটা ভরসা করেছেন মাশরাফী, সেটা স্কোরকার্ডে চোখ রাখলেই বোঝা যাচ্ছে। উইন্ডিজের ইনিংসে ২৪ ওভার বাকি, অথচ নির্ধারিত ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে ফেলেছেন মিরাজ। ২৬ ওভারে ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে ক্যারিবীয়রা। যার ৪টিই মিরাজের শিকার।
প্রতিপক্ষের চারজনকে সাজঘরে পাঠাতে কিপ্টে বোলিংয়ে মিরাজ খরচ করেছেন মাত্র ২৯ রান। যেটা তার ক্যারিয়ার সেরা ওয়ানডেতে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত অক্টোবরে ৪৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন, আগের সেরা ছিল সেটি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে চন্দরপল হেমরাজকে মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচ বানিয়ে শুরু মিরাজের। চার ওভার পর ছোট বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই উপরে দেন ড্যারেন ব্রাভোর স্টাম্প।
ক্যারিবীয় ইনিংসের ২৪তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন মিরাজ। এবার সাজঘরের পথ দেখান ‘বানি’ শিমরন হেটমায়ার। মিরাজের বল এতটাই লাইনে থেকে তার প্যাডে আঘাত হানল যে রিভিউ নেয়ার চেষ্টাও করেননি হেটমায়ার। দুই টেস্টের চার ইনিংসসহ চলতি সিরিজে মোট ৬বার হেটমায়ারকে আউট করলেন মিরাজ।
কোটা পূরণের পথে নিজের শেষ ওভারেও খালি হাতে ফিরতে হয়নি মিরাজকে। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের দারুণ এক ক্যাচ বানিয়ে টাইগারদের ভারো অবস্থানে রেখেছেন এ ম্যাজিক্যাল অফস্পিনার!