বঙ্গভবনে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গভবনের হলওয়েতে নামাজে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রেসিডেন্টের পরিবারের সদস্য ও বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদুল আজহার জামাতে অংশ নেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়।
রাষ্ট্রপতি নামাজ শেষে দেশবাসীর উদ্দেশে ঈদের শুভেচ্ছাবক্তব্য রাখেন। শুভেচ্ছাবক্তব্যে তিনি বলেন, আশা করি, সকলেই সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি সম্পন্ন করবেন এবং যথাসময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সচেষ্ট থাকবেন।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা।
‘‘ঈদুল আযহা উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।’’
এরআগে ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশবাসী ও সারাবিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানান। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। ঈদুল আজহা উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা।
তিনি বলেন, মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়।
কঠিন এ সময়ে দেশের আপামর জনগণের প্রতি কোরবানির মর্মার্থ অনুধাবন করে সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।