টাঙ্গাইলে অল্প ক’দিন আগের চিরচেনা সবুজ ধানের মাঠ ধীরে ধীরে রুপ পাল্টে ধারণ করছে কৃষকের স্বপ্নের রঙে। পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে বাতাস। তবে সেখানে শঙ্কার মেঘ দানা বেঁধেছে করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ায়।
কৃষকের এ সংকট মোকাবেলায় তাদের সহযোগিতার জন্য প্রায় তিন হাজার ছাত্রলীগ- যুবলীগের কর্মীকে মাঠে নামিয়েছেন টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য। তারা কৃষকের ধান কেটে দেয়ার পাশাপাশি সব ধরণের সহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান (ছোট মনির)।
এর ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকে ভূঞাপুরের পৌর এলাকার বীরহাটি গ্রামের বর্গা চাষীর খুকুর ২০ শতাংশ প্রায় তলিয়ে যাওয়া ধান কোমর পানিতে নেমে কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিছেয়েন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শতাধিক নেতা-কর্মী ধান কাটা কাজে অংশগ্রহণ করলেও যাদের ধান কাটার কাজে অভিজ্ঞতা নেই সহযোগীতা করছেন অন্যকাজে।
এসময় তাদের ধানকাটা কাজে উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ ও থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে আয়োজক ভূঞাপুর শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান চকদার বলেন: আমাদের এমপি কৃষকের পাশে থাকার নির্দেশনা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পরামর্শে আমরা কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ধান কাটতে গিয়ে যেন কৃষকের কোন ক্ষতি না হয় তার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংসদ সদস্য। আমরা সেই মোতাবেক ধান কেটে, মাড়াই করে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছি। এতে কৃষকরা অনেক খুশি হয়েছেন।
এছাড়া ভূঞাপুর উপজেলা ছাত্রলীগ ও গোপালপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই দরিদ্র ও অসহায় কৃষকদের ধানকাটা কাজে নানাভাবে সহায়তা করছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান বলেন: দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে থাকাই বড় ধর্ম। আমরা ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে সর্বক্ষণ মানুষের পাশে আছি।
তিনি আরও বলেন: একদিকে শ্রমিক সংকট তার উপর এক বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা লাগে। তাই আমরা চিন্তা করেছি আমাদের এই সামান্য চেষ্টায় যদি একজন কৃষকও উপকৃত হোন সেটাই আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।