জামালপুরে বন্যার পানি কমতে শুরু করায় নিরূপণ করা সম্ভব হচ্ছে কৃষি ও মৎস্য খাতের ক্ষতি। সামগ্রিক ক্ষতির একটি তালিকা করে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কুড়িগ্রামেও বন্যায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
এবারের বন্যায় জেলা সদরসহ বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি সাত উপজেলার ১৯৫০ হেক্টর জমির সবজি বাগান, ১৭৬০ হেক্টরের আমন বীজতলা, ১৪শ’ হেক্টরের আউশ, ৩৯০০ হেক্টরের পাট ও ৭০ হেক্টর জমির কলা বাগান তলিয়ে যায়।
এর সঙ্গেই ভেসে যায় ৬৪৫২টি পুকুর ও ঘেরের প্রায় ১৬৯০ মেট্রিক টন মাছ। মৎস্য অধিদপ্তরের হিসেবে, এই খাতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
জামালপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুনির উদ্দিন বলেছেন, বন্যার পানি নামার পর ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করে বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি বিভাগীয়ভাবে অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমকেও জানানো হয়েছে।
কুড়িগ্রামে ৯ উপজেলায় সাড়ে ১০ হাজার হেক্টর জমির বীজতলা, আমন, পটল, মরিচসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক।