করোনাভাইরাস পরিস্থিতির শুরুতে করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে অন্যান্য দেশের মতো হিমশিম খাচ্ছিল বাংলাদেশও। হঠাৎ করোনা চিকিৎসায় দেবদূতের মতো প্লাজমা থেরাপির আগমন। প্লাজমা চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেন অসংখ্য করোনাআক্রান্ত রোগী।
তবে লকডাউনের মধ্যে রোগীর স্বজনদের জন্য প্লাজমা ম্যানেজ করা এতোটা সহজ ছিলনা। মানুষের এই প্রয়োজনকে মাথায় রেখে প্লাজমা সংগ্রহে ‘প্লাজমা ব্যাংক অব বাংলাদেশ’ নামে অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি করেন স্বেচ্ছাসেবী সাহিদ আহমেদ।
বর্তমানে বাংলাদেশের অনলাইনে সবচাইতে বড় এই প্লাজমা প্লাটফর্ম। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক মানুষকে প্লাজমা ম্যানেজ করা দেওয়া হয়েছে। তেমনি গ্রুপে স্বেচ্ছায় প্লাজমা দান করছেন অসংখ্যা স্বেচ্ছাসেবী। অগণিত মানুষ এই গ্রুপ থেকে রক্ত পেয়েও উপকৃত হচ্ছেন।
সাহিদের এই উদ্যোগে দুই লাখের বেশি মানুষ যুক্ত হয়েছে। সরাসরি প্লাজমা ডোনারকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে। প্লাটফর্মটিতে ডাক্তার, শিক্ষার্থীসহ অনেকেই যুক্ত হয়েছেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। করোনা থেকে বাঁচতে করণীয় নানা বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা।
সাহিদ ও তার দলের মতে, এখানেই থেমে থাকবে না কাজ। সচেতনতার অভাবে অনেকে ইচ্ছে থাকার পরও প্লাজমা দিচ্ছেন না, সেদিকে লক্ষ্য রেখে ভবিষ্যতে কাজ করা হবে।
করোনা মহামারীর শুরুতেই স্বেচ্ছায় অসহায় রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে আনা-নেওয়া, করোনা টেস্ট করা, ভর্তি করানো, অক্সিজেন সেবা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, খাবার বিতরণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সাহিদ আহমেদ।