এবি ব্যাংকের ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামালকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে এ দুই কর্মকর্তা যেন বিদেশ যেতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলা হয়েছে। এছাড়াও তাদের মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠাতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদ নজরে নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান গত বৃহস্পতিবার সকালে মতিঝিল থানায় আটজনকে আসামি করে মুদ্রা পাচার আইনের এ মামলা দায়ের করেন। ওই দিন বিকালেই রমনার মৎস্যভবন এলাকা থেকে ওয়াহিদুল হক, আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও সাইফুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মামলার বাকি আসামিরা হলেন, এবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ চৌধুরী ও মো. ফজলুর রহমান, হেড অব অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের (ওবিইউ) মোহাম্মদ লোকমান, হেড অব কর্পোরেট ব্যাংকিং মোহাম্মদ মাহফুজ উল ইসলাম এবং জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নুরুল আজিম।
গ্রেপ্তারের পর মামলার তিন আসামিকে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান মতিঝিল থানার এস আই গোলাম রাব্বানী। অন্যদিকে তিন আসামির পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়।
এরপর মহানগর হাকিম আবু সাইদ শুনানি শেষে সাইফুলকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়ে ওয়াহিদুল ও মোস্তফা কামালকে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের নামে ১৬৫ কোটি টাকা এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখা থেকে দুবাইয়ে পাচার করে এবং পরে তা আত্মসাৎ করে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্থ পাচারের ওই ঘটনা ঘটে।