ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় যেন সাধারণ মানুষ কষ্ট না পায়। তারা যেন সহনীয় মূল্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারে। এ ব্যাপারে আপনারা (ব্যবসায়ীরা) সহযোগিতা করবেন। কোথাও প্রয়োজন হলে সরকার ভর্তুকি দেবে।’
বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) এর সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সরকারি বিপনন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর বাজার মনিটারিং ও বিপনন ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ ও রসুনসহ যেসব পণ্যের মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে টিসিব সেসব পণ্য ট্রাক সেলে বিক্রি করবে। যাতে ঈদকে সামনে রেখে পণ্যের দাম না বাড়ে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, বন্যা পরিস্থিতির কারণে কয়েকটি পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। এছাড়া ভারতে পেঁয়াজের ওপর যে ১০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়া হত, সেটা তুলে দেয়া হয়েছে। এ কারণে দেশে পেঁয়াজের মূল্য কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া রসুন ও আদার মূল্য কিছুটা উর্ধ্বমূখী। এর বাইরে অন্য সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।
তিনি ঈদের সময় পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সোনা মসজিদ ও ভোমরা স্থলবন্ধর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেন, যাতে বাড়তি পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ঈদের মত ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে পণ্য মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরবরাহ কাঠামোর সাথে জড়িত সবারই দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই আশা করি ঈদের সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করবেন।
সভায় জানানো হয়, চাল, চিনি, ডাল, হলুদসহ অন্যান্য পণ্য পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এছাড়া ভোজ্যতেল, এলাচ, জিরাসহ অন্যান্য মসলার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে, তাই এসব পণ্যের মূল্য বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
কোরবানির সময় পশু পরিবহনে যাতে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি না হয় সেজন্য, ট্রাক বা ট্রলারের সামনে সাইনবোর্ডে গন্তব্য বা হাটের নাম লিখে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এতে কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের হয়রানি কমবে। এক হাটের গরু অন্য হাটে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না।