খুলনা থেকে: শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের ঘাসের উইকেটে ব্যাট হাতে সমানতালে ছুটছিলেন ইমরুল কায়েস ও এনামুল হক বিজয়। ইমরুল পরে সেঞ্চুরির গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেও বিজয় তীরে এসে তরী ডুবিয়ে পুড়েছেন আক্ষেপে। বিসিএলের শেষ রাউন্ডে নর্থ জোনের বিপক্ষে ইমরুলের ১০৭ ও বিজয়ের ৮৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৭৮ রানের লিড পেয়েছে সাউথ জোন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: নর্থ জোন-১৮৭ ও ৩২/০; সাউথ জোন-৩৬৫/৮(ইনিংস ঘোষণা)
বুধবার ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৬৫ রান তোলার পর প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে সাউথ জোন। পড়ন্ত বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩২ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে নর্থ জোন, এখনও পিছিয়ে আছে ১৪৬ রানে।
প্রথম ইনিংসে নর্থরা গুটিয়ে যায় ১৮৭ রানে। জবাবে মঙ্গলবার দিন শেষে সাউথের দুই ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ৫১ ও এনামুল হক বিজয় ৫২ রানে অপরাজিত থাকলে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেটে ১১৫ রান। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের সকালে আগেরদিনের মতোই শুরু করেন ইমরুল-বিজয় জুটি।
চোট কাটিয়ে বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডে সেঞ্চুরি করে ইমরুল নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করেছিলেন, ডাক পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে। তৃতীয় ওপেনার হিসেবে টিকে যান টি-টুয়েন্টি দলেও। পরে নিধাস ট্রফিতে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। নিজেকে তুলে ধরতে আবার বেছে নিলেন বিসিএলের মঞ্চই।
প্রিমিয়ার লিগের লম্বা বিরতি শেষে বিসিএল ফিরেছে খুলনায়, ইমরুলের ব্যাটে সেঞ্চুরির ছন্দ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এ বাঁহাতির ১৭তম সেঞ্চুরিটি ১০৭ রানের। ২২ গজে ছিলেন বেশ সাবলীল। তিন অঙ্কে পৌঁছাতে খেলেছেন অসাধারণ সব শট। ১৬৫ বলের ইনিংসে ১৩টি চার ও দুটি ছয়ের মার।
সেঞ্চুরির পরই ইমরুল খেই হারান। ফরহাদ রেজার অফস্টাম্পের বাইরে পিচ করানো বলটি আউটসুইং করে বেরিয়ে যাচ্ছিল, ইমরুল ব্যাট এগিয়ে দেন। ব্যাটের কোনায় ছোঁয়া লাগিয়ে বল ধরা পড়ে উইকেটরক্ষক ধীমান ঘোষের গ্লাভসে।
ইমরুলের সেঞ্চুরির দিনে আক্ষেপে পুড়েছেন এনামুল হক বিজয়। এ ওপেনার ৮৯ রান করে হয়েছেন এলবিডব্লিউ। বোলার সেই ফরহাদ রেজা। লেগস্টাম্প বরাবর পিচ করা বল অনসাইডে ঘোরাতে গেলে প্যাডে লাগে। পরে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। উইকেটে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
দ্বিতীয় উইকেটে বিজয়-ইমরুলের ১৮৪ রানের জুটিতেই ভাল সংগ্রহের ভিত পায় সাউথ জোন। জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় সাউথের লিড ১৮। সেই লিড বাড়িয়ে নিতে অবদান রাখেন মোহাম্মদ মিঠুন ও তুষার ইমরান। মিঠুন ৪৯ রান করে এলবিডব্লিউ হন আরিফুল হকের বলে। ৬৫ রান করে তুষার ফেরেন বোল্ড হয়ে, ফরহাদ তৃতীয় শিকার তিনি।
শেষে আরও দুই উইকেট তুলে নিয়ে ফরহাদ তার নামের পাশে লেখান পাঁচ উইকেট। শফিউল ইসলাম, আরিফুল হক ও তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন একটি করে উইকেট।