আর্মেনিয়ায় অনুষ্ঠিত ৫ দিনব্যাপী ‘লিওনিড ইয়েঙিভারিয়ান আন্তর্জাতিক মূকাভিনয় উৎসব-২০১৭’ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় এই উৎসব শেষ হয়।
সমাপনী দিনে মূকাভিনয় প্রদর্শনী করেছে চেকপ্রজাতন্ত্র এবং আর্মেনিয়ার কয়েকটি মূকাভিনয় দল। এরপর ছিল উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান। এসময় জার্মানি, রাশিয়া, ফ্রান্স,দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, চেক প্রজাতন্ত্র, নাগার্নো কারাবাখ এবং আর্মেনিয়ার প্রত্যেকটি দলকেই মঞ্চে ডেকে উৎসব স্মারক তুলে দেন উৎসব আয়োজক কমিটির পরিচালক দাদাসিয়ান।
বাংলাদেশের অংশকে সমাপনী পর্বের মূল আকর্ষণ বলা যায়। কেননা পাঞ্জাবী আর চিরচেনা গামছা পরে এবং প্রিয় লাল-সবুজ পতাকা হাতে মঞ্চে উঠে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির পরিচালককে বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতির অংশ একতারা প্রদান করা হয়।
হাতে একতারা, গলা আর মাথায় গামছা, পরনে সাদা পাঞ্জাবী দেখে আর্মেনিয়ানদের মধ্যে কৌতূহলের যেন শেষ নেই। সবাই এসে ছবি তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে অসাধারণ হয়েছে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। কেউ কেউ জানতে চাইছেন কোন ধরনের পোশাক এগুলো। তাদেরকে বলা হলো- এগুলো বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পোশাক।
মঞ্চে এরপর বাংলাদেশ দলকে উৎসব স্মারক, সার্টিফিকেট তুলে দেন পরিচালক। এরপর আর্মেনিয়ান ভাষার জনপ্রিয় একটি গানের দুটি লাইন দিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শুরু করেন মীর লোকমান। এতে দর্শকদের মধ্যে তুমুল উল্লাস পরিলক্ষিত হয়।
এক পর্যায়ে তিনি বলেন, এই উৎসব আর্মেনিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা এসেছি বাংলাদেশ থেকে। আর এখানেও রয়েছে আরেকটি বাংলাদেশ। সুতরাং আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রটি অনেক গভীর এবং সেটি হলো আমরা বাংলাদেশি।
বক্তব্য শেষে বাংলাদেশ দলের সদস্যরা লাল-সবুজের পতাকা হাতে তুলে নেয়। এরপর একে একে উৎসব আয়োজক কমিটির প্রতিনিধি, রাশিয়া, জার্মানসহ বিভিন্ন দেশের সদস্যরাও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নেয়।
এভাবেই লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে সমাপ্ত হলো আর্মেনিয়ার আন্তর্জাতিক মূকাভিনয় উৎসব-২০১৭।