এখন আর একা একা না আত্মহত্যার জন্য জাপানীরা সঙ্গী খুঁজছে বলে জানা গেছে। প্রবাসী শিক্ষক ও গবেষক ড. আশির আহমেদ তার ফেসবুক পেজে জাপানের আত্মহত্যার ভয়াবহতা নিয়ে একটি স্ট্যটাস দিয়েছেন।
আশির আহমেদ লিখেছেন: ‘এরা এখন মরার জন্য সঙ্গী খোঁজে। জাপানে এমনিতেই আত্মহত্যার হার বেশি। বছরে ৩৩০০০, দিনে ৯০ জন। নতুন একটা ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে। একা একা মরতে চায় না। সামাজিক মাধ্যম গুলোতে সঙ্গী খোঁজে। বিশেষ করে তরুণরা।
গতকাল (৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭) এর ঘটনা। শিরাইশি নামক (২৭) এক যুবককে পুলিশ আটক করে লোমহর্ষক তথ্য পেয়েছে। তার বাসায় ৯ টি লাশ পেয়েছে। ঠিক লাশ না, শুধু মুণ্ডু। গত অগাস্ট থেকে এই দুইমাসে সে এই কাণ্ডগুলো ঘটিয়েছে।
একজন মনোবিজ্ঞানী বলছেন, মানুষ নাকি ৩ টা কারণে আরেকজন মানুষকে হত্যা করে।
(১) জেদ থেকে। পৃথিবী থেকে নাই করে দিতে পারলে শান্তি পায়।
(২) মৃত্যু দৃশ্য দেখতে চায়। যত কষ্টে মরণ, সেই দৃশ্যে তত বেশি শান্তি।
(৩) মৃত্যের সাথে বসবাস। আরেক এক্সাইট্মেন্ট। আত্মতৃপ্তি।
শিরাইসির মধ্যে (২) এবং (৩) এর দুটো গুণ ই আছে।
মানুষের কত কিসিমের শখ থাকে। সস্তা শখ, দামি শখ। শিরাইসির শখ খানা দামি, ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল। সে খুঁজে নিয়েছে এই সুযোগ।
কয়েকদিন আগে একটি মেয়ে (২৩) নিখোঁজ ছিল। তার ভাই তার টুইটার একাউন্ট থেকে এমন একটি মেসেজ পেয়েছে- “আত্মহত্যা করতে চাই। একা করতে পারছিনা। কেউ সঙ্গী হবে?”
এই মেসেজ এর জের ধরে পুলিশ তদন্তে নামলো। রেল স্টেশনের এক সিসিডি ক্যামেরা তে এই মেয়ে আর শিরাইশিকে দেখা গেল। শিরাইশির এপার্টম্যান্টে নয় নয়টি মুণ্ডু পেয়েছে। মারার পর লাশ থেকে পচনশীল দ্রব্যগুলো আলাদা করে আবর্জনার সাথে ফেলেছে বলে স্বীকার করেছে। সে মৃত্যু সঙ্গী হয়নি। ধোঁকা দিয়েছে। বিরল পিস। মানব সম্প্রদায়ের গবেষণার নতুন উপাদান।