‘ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট বা অন্য সিনিয়র খেলোয়াড়দের জায়গায় থাকলে আমার কাছে ওদের আচরণ অসম্মানজনক মনে হতো। বিশেষ করে শেষ ঘণ্টার ব্যাপারটা। তখন ক্রিজে দুজন সেট ব্যাটার, পিচও সহজে উইকেট নেয়ার মতো ছিল না। এরপরও ইংল্যান্ড কীভাবে ভেবেছে বাকি ছয় উইকেট তারা তুলতে সক্ষম!’
অ্যান্টিগা টেস্টে ড্রয়ের পরিণতি আসছে। এটা বুঝেও পঞ্চম দিনের শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যান জো রুট। ইংল্যান্ড দলপতির এমন আচরণে ম্যাচ শেষে বিস্ময়মাখা ক্ষোভ ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের। যদিও এই ম্যাচে মাঠে ছিলেন না তিনি।

সিরিজের প্রথম টেস্টে শনিবার শেষদিনে এনক্রুমাহ বোনের ও জেসন হোল্ডারের দৃঢ়তায় জয় হাতছাড়া হয়েছে ইংল্যান্ডের। ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েছেন রুটরা। তাতেই চটেছেন কার্লোস। দুজন সেট ব্যাটারের সামনে শেষ ওভার পর্যন্ত এভাবে বোলিং চালিয়ে যাওয়াকে উইন্ডিজের জন্য অসম্মানজনক বলছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বোনের ও হোল্ডার এদিন ৩৫ ওভার ৪ বল অবিচ্ছিন্ন থেকে ইংলিশদের হতাশ করেন। শেষদিনে ২৮৬ রানের লক্ষ্য ছিল উইন্ডিজের সামনে। একসময় ক্যারিবীয়দের ৪ উইকেট পড়ে যায় ৬৭ রানেই। তারপর আসে প্রতিরোধ। এমন প্রতিরোধের শেষে প্রতিপক্ষ অধিনায়কের থেকে আরও খানিকটা সম্মানই আশা স্বাগতিক তারকার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জায়গায় প্রতিপক্ষ হিসেবে যদি অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান বা নিউজিল্যান্ড থাকত, তাহলে রুট শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা টেনে নিতেন না বলেও মনে করেন ব্র্যাথওয়েট।
‘বড় দল হতে হলে বড় দলের মতো করে ভাবতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই মুহূর্তে হয়তো বড় দলের কাতারে নেই, তবে মানসিকতা সেভাবেই তৈরি করতে হবে। অ্যাশেজ টেস্ট বা ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কি ইংল্যান্ড এমন করত? করত না। তাহলে আমাদের বিপক্ষে কেন করল?’
১৬ মার্চ বার্বাডোজে তিন টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।