চলতি বছরে টিভি লাইভে এসে চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানান দিয়ে রীতিমত তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। শাকিবের সঙ্গে গোপন প্রেম, বিয়ে ও সন্তান জন্মের বিষয়টি ফাঁস করেন তিনি। আর এবার অপুর বাসায় তালকানামা পাঠিয়ে হইচই ফেলে দিলেন শাকিব। আগামি নব্বই দিনের মধ্যে বিষয়টির সুরাহা না হলে শাকিব-অপুর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে যাবে বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম।
গেল নভেম্বর মাসেই অপুকে তালাক দেয়ার খবরটি চাউড় হয়েছিল মিডিয়ায়। কিন্তু সেসময় মিডিয়াকে কিছু জানাতে রাজি হননি শাকিব। এমনকি অপু বিশ্বাস নিজেও একটি সংবাদ সম্মেলন করে ডিভোর্সের বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন। তবে শাকিবের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম শাকিবের ডিভোর্স লেটার পাঠানোর বিষয়টির কথা নিশ্চিত করেছেন। তালাকনামায় অপুর বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ তোলে ধরে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন শাকিব। এরমধ্যে একটি হচ্ছে, অপু তাদের সন্তান আব্রাম খান জয়কে বাসার কাজের লোকের কাছে রেখে কথিত বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে ভারতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এবং শাকিবের নির্দেশ মেনে চলেন না অপু। আর এসব কারণেই অপুকে ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাকিব।
আগামি নব্বই দিনের মধ্যে তাদের একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে হবে। শাকিব যদি তার ভুল বুঝতে পেরে আগামি নব্বই দিনের মধ্যে তালাকনামা উঠিয়ে নেন তাহলে এই ডিভোর্স কার্যকর হবে না। অন্যদিকে অপু বিশ্বাস ইচ্ছে করলে এই তালকানামাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। এবং এটাও নব্বই দিনের মধ্যেই করতে হবে। এমনটাই চ্যানেল আই অনলাইনকে সোমবার রাতে বলছিলেন শাকিবের আইনজীবী।
এমন অবস্থায় অনেকে সোশাল সাইটে প্রশ্ন তুলছেন, অপু কি শাকিবের এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাবেন, নাকি শাকিবের চাওয়াকেই পূর্ণতা দিবেন?
এ বিষয়ে কি ভাবছেন অপু বিশ্বাস? জানতে একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত অপু বিশ্বাসের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে। যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত নাম্বারটিতে ফোন গেলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। শুধু তাই না, এ বিষয়ে জানতে অপুর নিকেতনের বাসায় সাংবাদিকরা ভিড় করলেও সেখানে কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি তিনি।