রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা মিয়ানমারের এক সেনা ট্রাকে আক্রমণ চালিয়েছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমারের গণমাধ্যম। হামলায় সেখানকার পাঁচ সেনা আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) একজন মুখপাত্র শুক্রবার চালানো এই হামলার দায় স্বীকার করে নিশ্চিত করেছে যে তাদের দলই এই আক্রমণ চালিয়েছে। কারণ, বার্মা রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে, বাঁচাতে এমন কাজই করতে হবে।
সেখানকার ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার ম্যাগাজিন জানিয়েছে ৫ জন সেনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
আলজাজিরায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ২০ জন আন্দোলনকারী পাহাড়ের উপর থেকে নিজেদের তৈরি মাইন ও ছোট ছোট অস্ত্র দিয়ে একটি গাড়িতে আক্রমণ চালায় বলে জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। সেনাবাহিনী আরো যোগ করে, আরসা’র ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে।
গত অগাস্ট থেকেই এই ধরনের হামলার অভিযোগ তুলে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন শুরু করেছে মিয়ানমার। যেটার কারণে পরবর্তীতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা তাদের উপর গণহত্যা, গণধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আসছে বর্মী বাহিনীর উপরে। রোহিঙ্গাদের উপর চালানো এসব নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু সেই অভিযোগ বারবারই অস্বীকার করে এসেছে মিয়ানমার।
গতমাসেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি হয়। তবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত খুব কমই জানা গেছে।
রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের নেতা আতা উল্লাহ তার টুইটারে লিখেছেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক চাহিদা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলে সেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের মতামত নিতে হবে।