চিকুনগুনিয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দুঃখপ্রকাশের পর মশা মারতে এবার নিজেই কামান (কামান সদৃশ মশা নিধনে ব্যবহৃত যন্ত্র) দাগালেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতামূলক র্যালি এবং মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন মেয়র আনিসুল হক। এসময় তাকে মশক নিধন যন্ত্র চালাতে দেখা যায়।
এছাড়া মশকনিধন কার্যক্রম শুরুর পর তিনি জনসচেতনতা মূলক র্যালিতে অংশ নেন।
এসময় তিনি বলেন, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তবে ইতোমধ্যে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি।
মেয়র বলেন, ‘চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশা নিধন ও জনসচেতনতায় বিভিন্ন কার্যক্রম তিনগুণ করা হয়েছে। চিকুনগুনিয়ায় নগরবাসী কষ্ট পাচ্ছে। যতো দ্রুত সম্ভব চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা চেষ্টা করছি।’
‘জনসচেতনতা বাড়াতে আমরা এলাকায় এলাকায় র্যালি করছি। মশা মারার কার্যক্রমও আগের চেয়ে অনেক বাড়িয়েছি। এছাড়া প্রত্যেক এলাকায় রাস্তায় রাস্তায় আমরা আমাদের প্রতিনিধি দিয়ে নাগরিকদের মশক নিধন কর্মসূচিতে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করছি। এতে সাধারণ মানুষ যেভাবে আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন, আশা করছি অচিরেই চিকুনগুনিয়া আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।’
চিকুনগুনিয়া মহামারী আকার ধারণ করার জন্য সিটি করপোরেশনের দায় অস্বীকার করে দেয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ পর তিনি আজ সরাসরি মাঠে নামলেন।
গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেছিলেন, আপনার ঘরের ভেতরে গিয়ে আমি মশারি টানাতে পারব না। আপনার চৌবাচ্চায় আমি ওষুধ লাগাতে পারব না। আপনার ঘরের ভেতর সামান্য স্বচ্ছ পানিতে যে মশা জন্মাচ্ছে, সেটা আমি মারতে পারব না। করপোরেশনের যেখানে মশা মারার কথা, তার চেয়ে বেশি মারা হচ্ছে।
মেয়রের এমন বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠলে একদিনের মাথায় তিনি ওই বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।