ব্যাপক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মারিয়া ক্যারিবীয় দ্বীপ ডমিনিকাতে আঘাতের পর আরও শক্তিশালী হয়ে ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন-এ পরিণত হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭৫ মাইল বেগে ভার্জিন আইল্যান্ড ও পুয়ের্তো রিকোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মারিয়া।
মাঝখানে কিছু সময়ের জন্য সামান্য দুর্বল হয়ে ক্যাটাগরি ৪-এ নামলেও পরে আগের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে এগোতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, সেইন্ট ক্রইক্স দ্বীপ অতিক্রম করার পর মারিয়া বুধবার সকালে ভার্জিন আইল্যান্ড ও পুয়ের্তো রিকোতে আঘাত হানতে পারে। এজন্য ওইসব এলাকায় নৌ-বন্দর এবং বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ঘন্টায় ১৬০ মাইল বাতাসের গতিবেগ নিয়ে ডমিনিকায় আঘাত হানে মারিয়া। মারিয়ার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে ক্যারিবীয় অঞ্চল।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে তীব্র বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ব্যাপক ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ঝড়ে একজনের প্রাণহানি এবং আরও বেশ কয়েকজনের নিখোঁজের কথা জানিয়েছে ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার।
উপকূলবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুয়ের্তো রিকোর গভর্নর। এছাড়াও ক্যারিবীয় দ্বীপটির পুরো ৩৫ লাখ বাসিন্দাকেই পুরোটা সময় নিরাপদে থাকার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন তিনি।
হারিকেন মারিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে কয়েকশ’ আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে কর্তৃপক্ষ। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কী পরিমাণ হতাহতের ঘটনা ঘটবে তা আসলে নির্ভর করছে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তাগুলো জনগণ কতটা গুরুত্ব দিয়ে নিচ্ছে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে আঘাত আনা আরেক বিধ্বংসী ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন ইরমার মতো প্রায় একই গতিপথ ধরে এগোচ্ছে মারিয়া। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ইরমার আঘাতে রয়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ মারিয়ার তীব্র বেগের বাতাসকে আরও বেশি বিপজ্জনক করে তুলতে যাচ্ছে।