বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচার বিশ্বের যে কোন ট্রাইব্যুনালের বিচারের চাইতে মানদণ্ডে অনেক উপরে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
সোমবার জার্মানির ওল্ডেনবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে আয়োজিত লোক-বক্তৃতায় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ এই মন্তব্য করেন।
এই অনুষ্ঠানে লোক-বক্তৃতার প্রথম পর্বে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ” যুদ্ধকালীন ধর্ষণের বিচারঃ বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা” শীর্ষক গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন। এই গবেষণা পত্রে ব্যারিস্টার তুরিন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তার সহযোগীরা বাঙ্গালী নারীদের উপর যে যৌন হয়রানী , নির্যাতন, ধর্ষণ চালায় তার ঐতিহাসিক চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ধর্ষণের বিচার সংক্রান্ত নানারূপ তথ্য , উপাত্ত , প্রতিকূলতা এবং তা মোকাবেলা করার অভিজ্ঞতা আলোচনা করেন। ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন “বাংলাদেশই একমাত্র রাষ্ট্র যে যুদ্ধকালীন ধর্ষণের বিষয়টি এত বিশদভাবে তার রায়ে তুলে ধরতে পেরেছে। তিনি আরও বলেন ” যুদ্ধ শিশুকে সাক্ষী হিসেবে বাংলাদেশই প্রথম আদালত থেকে স্বীকৃতি হিসেবে আদায় করেছে।” ব্যারিস্টার তুরিন লোক-বক্তৃতার দ্বিতীয় পর্বে ” বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে সামাজিক ও আইনি গুরুত্ব ” শীর্ষক গবেষণা পত্র উপস্থাপন করেন। এই গবেষণা পত্রে তিনি প্রথমেই বিশ্বের অন্যান্য যুদ্ধাপরাধ মামলার সঙ্গে বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালের তুলনামূলক আলোচনা করেন। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচার বিশ্বের যে কোন ট্রাইব্যুনালের বিচারের চাইতে মানদণ্ডে অনেক উপরে।
এই অনুষ্ঠানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ হতে আগত গণহত্যা গবেষণা বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন। তুরিন আফরোজ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ হতে আগত গণহত্যা গবেষণা বিশেষজ্ঞ এবং শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।