টানা ২ সপ্তাহের বন্যায় লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কক্সবাজারের গ্রামীণ জনপদ। রাস্তা, ব্রীজ, কালভার্ট ও বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পানি কমে যাওয়ায় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ ঘরে ফিরলেও দিন কাটছে অনাহারে, অর্ধাহারে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করে দ্রুত সাহায়তার দাবী তাদের।
কক্সবাজারে বন্যার পানি নেমে গেলেও রেখে গেছে অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন। শুধু রাস্তা নয়, বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘর-বাড়িও। ঘূর্ণিঝড় মোরার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে বন্যার কবলে দিশেহারা কক্সবাজারের মানুষ। জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে যারা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
বিভিন্ন স্থানে সড়কগুলোর পরিস্থিতি করুণ। জায়গায় জায়গায় ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ায় সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য বাঁশের বিকল্প ব্যবস্থা করেছে স্থানীয়রা। জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাবে রাস্তাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। তবে ক্ষতির কথা স্বীকার করে দ্রুত সড়ক সংস্কারের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
এবারের বন্যায় কক্সবাজারের ৭১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪৫ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামই ছিল পানির নিচে। আর পাহাড় ধস ও বানের পানিতে ডুবে মারা গেছে ৭ জন।
বিস্তারিত দেখুন কক্সবাজার থেকে সরওয়ার আজম মানিকের পাঠানো তথ্য ও ভিডিও চিত্রে মৌসুমী সুলতানার রিপোর্টে: