গত আসরের চ্যাম্পিয়ন তিনি। অথচ চোটের থাবায় উইম্বলডন খেলতে পারবেন না অ্যান্ডি মারে; তা কী করে হয়? মারে নিজেও চান না আসরের বাইরে থাকতে। তাই কোমরের চোট নিয়েও শিরোপা পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছেন নাম্বার ওয়ান ব্রিটিশ টেনিস তারকা।
আসর শুরুর আগে ফিটনেস টেস্টে খুব একটা ভালো করতে পারেননি মারে। খেলার মাঝেও যেকোনো সময়ে হানা দিতে পারে চোট। তবে এ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন ২০১৬ সালের উইম্বলডন-জয়ী তারকা। চান যেকোনো মূল্যে শিরোপা ধরে রাখতে, ‘আমি তো আশা করি পারবো। একটার পর একটা ট্রেনিং সেশন করেই যাচ্ছি। পারার তো কথা।’
চোটের সঙ্গে সঙ্গে কোর্টেও বড় পরীক্ষা দিতে হবে মারেকে। প্রথম রাউন্ডে লড়বেন অবাছাই আলেকসান্ডার বাবলিকের বিপক্ষে। এরপর যদি চতুর্থ রাউন্ড পর্যন্ত পৌছাতে পারেন, সেখানে পাবেন তরুণ তুর্কী নিক কারগিয়াসো কিংবা লুকাস পাওলির যেকোনো একজনকে। কোয়ার্টারে পেতে পারেন র্যাঙ্কিংয়ের পাঁচে থাকা স্তানিসলাস ভাভরিঙ্কাকে এবং ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী রাফায়েল নাদাল হতে পারেন এক নম্বর তারকার সেমির প্রতিপক্ষ।
গত দুই বছরের তুলনায় এবারের উইম্বলডনকে ধরা হচ্ছে সবচেয়ে জমজমাট আসর হিসেবে। মারে, নোভাক জোকোভিচদের আড়ালে ঢাকা পড়ে যাওয়া সাবেক বিশ্বসেরা তারকা রজার ফেদেরার এবং রাফায়েল নাদাল আবারও দাপটের সঙ্গে ফিরেছেন টেনিস কোর্টে। ফেদেরার জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং দশমবারের মতো নাদালের ঘরে গেছে রোলাঁ গারোঁ শিরোপা।
তাই শিরোপার জন্য এক কঠিন লড়াই লড়তে হবে ব্রিটিশদের গর্বকে। ফর্ম এবং চোটকে পরাস্ত করতে ঘরের মাঠে দর্শকদের সমর্থনই বড় শক্তি হতে পারে মারের।