নিয়মরক্ষার ম্যাচের আড়ালে একটা করে সুযোগ দুদলেরই ছিল। ঢাকার জন্য সেটি সেরা দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ারের টিকিট কাটার। আর রংপুরের জন্য ঢাকাকে হারিয়ে এলিমিনেটরের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ড্রেস রিহার্সেল সেরে রাখার। মাঠের লড়াইয়ে জিতে সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে সাকিবের ঢাকা, মাশরাফীবিহীন রাইডার্সকে ৪৩ রানে হারিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লার প্রতিপক্ষ হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
কোয়ালিফায়ারের চার দল আগেই নিশ্চিত হয়েছে। এক ম্যাচ হাতে রেখে ১৬ পয়েন্টে শীর্ষে থাকা নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা। ১২ ম্যাচে ১৫ পয়েন্টে দুইয়ে ছিল খুলনা। বুধবার রংপুরকে হারিয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে দুইয়ে উঠে গেল ঢাকা। ৮ তারিখ প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলে সরাসরি ফাইনালের টিকিট কাটার সুযোগ পাবে ঢাকা বা কুমিল্লা।
সেখানে দ্বিতীয় সুযোগ থাকবে হারা দলটির জন্যও। শুক্রবারের প্রথম ম্যাচে এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে খুলনা ও রংপুর। যাতে জয়ী দলের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারা দল খেলবে অঘোষিত সেমিফাইনাল ১০ তারিখের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। রংপুর ১২ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারের চতুর্থ দল।
বুধবার শের-ই-বাংলায় ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে অধিনায়ক করে নামে রংপুর রাইডার্স। ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব আল হাসানের অপরাজিত ৪৭ রানে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তোলে ঢাকা ডায়নামাইটসরা। জবাবে ৪৩ রান দূরেই আটকে যায় রাইডার্সরা।
মাশরাফীর মত গেইলও ছিলেন না একাদশে। রান তাড়া করতে নেমে লিথ ৩, ম্যাককালাম ১, নাফিস ৭, মিথুনের (২) ব্যর্থতায় টুর্নামেন্টজুড়ে ধুঁকতে থাকা রংপুর বিবর্ণ প্রদর্শনীই জারি রাখে।
শুরুতে চার্লসের ধীরগতির ২৬ (৩০ বলে) তাই কাজেই লাগেনি। শেষদিকে বোপারার একটি করে চার-ছয়ে ৩০ বলে অপরাজিত ২৮ রানও দলকে একশ ছোঁয়াতে পারেনি।
ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন ব্যাট হাতেও দলকে বাঁচানো সাকিব। অধিনায়কের স্পেলে আছে একটি কোন রান না দেয়া ওভারও। আবু হায়দারের দখলেও গেছে ২টি উইকেট। আমির এক উইকেট নিলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান। নারিন ৪ ওভারে ১৮ ও মোসাদ্দেক ৩ ওভারে ১৩ রানে একটি করে উইকেট পকেটে পুরেছেন।
এর আগে নারিন ৪, লুইস ১৪, ডেনলি ৯, জহুরুল ৫, মোসাদ্দেক ১০, পোলার্ড ৬ রানে ব্যর্থ হয়ে ফিরলে ঢাকার ব্যাটিংও ধুঁকতে থাকে। মাঝে মেহেদী মারুফ ৩ চার ও এক ছয়ে ২৩ বলে ৩৩ রান করলে খানিকটা সম্মান বাঁচানোর সুযোগ আসে।
সেটাই কাজে লাগিয়ে ইনিংস টেনে নিয়েছেন সাকিব। অধিনায়ক ২টি করে চার-ছয়ে ৩৩ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন শেষপর্যন্ত। সেই ইনিংসটিই টার্নিং হল দলের শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করতে।
রংপুরের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল ও এবাদত। মাশরাফীর জায়গায় খেলতে নেমে ৪ ওভারে ৩৭ রানে দুটি উইকেট তরুণ এবাদতের জন্য মন্দ নয়! সুযোগ মেলা আব্দুর রাজ্জাক ৩ ওভারে ২৩ রানে একটি উইকেট নিয়েছেন।