কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। কিশোরগঞ্জে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নতুন করে তলিয়ে গেছে তাড়াইল উপজেলার ৩০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান। সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার উড়ারবন বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে পাগনার হাওরের সাড়ে নয় হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল। সুনামগঞ্জে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন।
কিশোরগঞ্জের হাওরের নীচু এলাকার ধান তলিয়ে গেছে আরো সাতদিন আগে। সামান্য উঁচু জমির ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন কৃষক। তাদের সে স্বপ্নও ভেসে গেছে।
চারদিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নতুন করে ডুবে গেছে তাড়াইল, অষ্টগ্রাম, মিঠামইনসহ জেলার সাত উপজেলার ৩০ হাজার হেক্টর জমির ধান। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে পশুখাদ্য সংকট।
এ অবস্থায় কৃষিঋণ মওকুফসহ আগামী একবছর রেশনিং পদ্ধতি চালুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। কিশোরগঞ্জে এবার এক লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। রোববার পর্যন্ত জেলার সাত উপজেলায় অন্তত: ৯০ হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার উড়ারবন বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে পাগনার হাওরের সাড়ে নয় হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো বাড়ার আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি শাহ্ আজিজুল হক ও সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি এ কে এম মহিমের পাঠানো তথ্য ও ভিডিওচিত্রে সুদীপ্তা মাহমুদের রিপোর্ট: