বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৬ বছর। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের উপর পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের পূর্ণমাত্রার নিয়ন্ত্রণ ছিল ৩৪ বছর। স্বাধীন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী এবং তাদের বংশধরদের দ্বারা শাসিত হয়েছে ২৮ বছর। পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এবং সামরিক বাহিনী ও তাদের পরিবার-পরিজনেরা মিলেমিশে দেশটাকে যাচ্ছেতাইভাবে পরিচালনা করেছে। সৃষ্টি করেছে সন্ত্রাস, জুলুম, দুর্নীতি আর অনাচারের রীতিনীতি, রাজনীতি। এই অপশক্তিরা দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি যেটা করেছে সেটা হচ্ছে মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী সংস্কৃতির চাষাবাদ। বাংলাদেশ নিজের মত করে চলতে পেরেছে মাত্র ১২ বছর। বাংলাদেশের যা অর্জন তা শুধুই এই ১২ বছরের অর্জন। বাংলাদেশকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশার মত করে চলতে হলে, সুস্থ বিবেকের আধুনিক মানুষের মত করে চলতে হলে এখনো অর্জন করতে হবে বহু কিছু। আর তা অর্জন করতে হবে বাংলাদেশের কাদামাটিজলে গড়ে ওঠা একমাত্র রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকেই। বাংলাদেশপন্থী মানুষেরা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিয়ান মানুষেরা, প্রগতিশীল বাঙালি আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করতে পারে না।
বাংলাদেশের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ দুইটা। এক) সন্ত্রাস, জুলুম, দূর্নীতি আর অনাচারের রীতিনীতি আর রাজনীতি ধ্বংস করা; এবং দুই) মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী সংস্কৃতি সমূলে উৎপাটন করা। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বেশ ভাল দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে তার জন্য প্রশংসা কুড়াচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এখনো জঙ্গিবাদ বিনাশ হয়ে যায়নি। প্রায় প্রতি সপ্তাহে কোন না কোন জঙ্গি আস্তানায় হানা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একের পর এক ধ্বংস হচ্ছে জঙ্গি ডেরা; জেলে ঢুকছে, নিহত হচ্ছে, আত্মঘাতী হচ্ছে মধ্যযুগীয় বর্বরেরা। দেশে কি পরিমাণ জঙ্গি আছে? তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক শক্তি কোথা থেকে আসে? কিভাবে তারা নিজেদের মধ্যে যোগসূত্র রক্ষা করে? কবে এবং কিভাবে জঙ্গিবাদ চিরতরে নির্মূল হবে বাংলাদেশ থেকে? এইসব প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর নেই সাধারণ মানুষের কাছে। যা আছে তা হল ধারণা। জঙ্গিবাদের আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় পরিস্থিতি সম্পর্কে জনমানসে যে ধারণা তৈরী হয়েছে তা হল- জঙ্গিবাদ দমন হয়েছে, নির্মূল হয়ে যায়নি।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে জঙ্গিবাদ আবার ফিরে আসতে পারে। এমন ধারণাও রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এর প্রধান কারণ জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পৃক্ততার কিছু প্রমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন সময়ে দিতে পেরেছে। বাংলাদেশে যত জঙ্গি ধরা পড়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই জামায়াত বা শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। জঙ্গিদের প্রধান সংগঠন জেএমবি সৃষ্টি করে জামায়াত থেকে বেড়িয়ে যাওয়া এক অংশ। এদের টাকা-পয়সা জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এ কারণে ইসলামী ব্যাংকের এক শাখাকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে; এক শাখা ব্যাবস্থাপককে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে। আরেক জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের প্রধান, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি আব্দুল হান্নান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় স্বীকার করেছে যে এই হামলার পরিকল্পনা করার জন্য হাওয়া ভবনে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। জঙ্গি ইস্যুতে বিএনপি নেতারা যে সমস্ত মন্তব্য করেন তা কোন না কোনভাবে জঙ্গিদের পক্ষে যায়।
জঙ্গিবাদ অনেকটা দমন করতে পারলেও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি অর্জন করছে মৌলবাদী রাজনীতিকেরা। তাদের মধ্যে বর্তমান সময়ে সাফল্যের মধ্য গগনে আছে হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতে ইসলাম ২০১১ সালে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতির বিরোধিতা করে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়। পরবর্তীতে মধ্যযুগীয় ১৩ দফা নিয়ে জামায়াত-বিএনপি’র সঙ্গে একত্রিত হয়ে ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যোগ দেয়। বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি প্রকাশ্যে হেফাজতের ১৩ দফায় সমর্থন দেয়। জামায়াতের টাকায় এবং আয়োজনে হেফাজত ৫ মে ২০১৩ তারিখে ঢাকায় মধ্যযুগীয় ভ্যাণ্ডালিজম সৃষ্টি করে অনেক ঘরবাড়ি, গাছপালা, অফিস-আদালত, বই-পত্র, কোরান-হাদিস, যানবাহন ধ্বংস করে; ব্যাপক প্রাণহাণী ঘটায়। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ তাদের জামায়াত-বিএনপি’র সঙ্গ থেক দূরে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের জন্য বেশ কিছু আর্থিক সুবিধার ব্যাবস্থা করে, স্কুলের বইপত্র তাদের দাবী অনুসারে পরিবর্তন করে এবং গণভবনে হেফাজত নেতাদের সঙ্গে বসে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিদানের ব্যবস্থা করে।
যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হলে জামায়াতে ইসলাম, নেজামে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, ইত্যাদি মৌলবাদী সংগঠনগুলোর নেতাদের অনেকেই যুদ্ধাপরাধের মামলায় জড়িয়ে পড়েন। অনেকের বিচার সম্পন্ন হয়েছে, রায় কার্যকর হয়েছে। অনেকে বিচারাধীন। এতে দুর্বল হয়ে পড়েছে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী এবং পাকিস্থানীদের পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে ওঠা মৌলবাদী সংগঠনগুলো। এরা দুর্বল হলেও এদের সৃষ্ট মৌলবাদী সংস্কৃতি ৩৪ বছরের সাম্রাজ্যবাদের কবলে থাকা বাংলাদেশে যে পরিমাণ শক্তি এবং জনসমর্থন অর্জন করেছে তা এখনো যথেষ্ট কার্যকর রয়েছে। এমনকি একথাও বলা যায় যে মৌলবাদী রাজনীতির শিকড় বাংলাদেশের সংস্কৃতির মধ্যে এতটাই প্রথিত হয়েছে যে তাদের প্রভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির দলগুলোও নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে ধর্মীয় রাজনীতির সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করতে তৎপর হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন এবং কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মঞ্জুরুল আহসান খানের হজ্বব্রত পালন এবং হেফাজতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা সৃষ্টির উদ্যোগের কথা বলা যেতে পারে।
মৌলবাদী রাজনীতি দুর্বল হবে তখনই যখন দেশে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা বৃদ্ধি পাবে, দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ হয়ে টেলিভিশন নির্ভর অসুস্থ সংস্কৃতি থেকে জাতি মুক্তি পাবে (নিশ্চয়ই সকল চ্যানেলের সকল অনুষ্ঠানকে অসুস্থ বলা হয়নি)। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি সরকারকে। মৌলবাদী রাজনীতিকে হটিয়ে দেয়ার জন্য গ্রামে গ্রামে, পাড়ায়-মহল্লায়, শহরে শহরে শরীর চর্চা কেন্দ্র, সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, পাঠাগার তৈরী করা দরকার। স্থানীয় পর্যায়ে, জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া, নাচ-গান, কবিতা, বক্তৃতা ইত্যাদি প্রতিযোগিতার আয়োজন হলে নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা বাড়বে; মৌলবাদী রাজনীতি পিছু হটবে।
পাকিস্তান আমলের ধর্মীয় রাজনীতির কদর্যতার মধ্য থেক উঠে আসা আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির দল। এমন একটি দল মৌলবাদীদের সঙ্গে আঁতাত করতে পারে না বলে এদেশের প্রগতিশীল মানুষেরা বিশ্বাস করে। সাম্রাজ্যবাদী আমলে দেশে যে পরিমাণ মৌলবাদের উত্থান হয়েছে তার সঙ্গে সরাসরি বিরোধে জড়ালে ভোটের রাজনীতিতে দলটি পিছিয়ে যাবে। ভোটের রাজনীতিতে পিছিয়ে গেলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হতে পারে। আর তা হলে মৌলবাদের উত্থান আরও ব্যাপকভাবে হবে। আবার মৌলবাদীদের সুরে কথা বলে দলটি প্রগতিশীলদের যথেষ্ট বিরাগভাজন হয়েছে। নির্বাচনের আগে যদি দলের অবস্থান পরিষ্কার না হয় তবে বহু অসাম্প্রদায়িক লোক ভোট দিতে যাবে না। এই দুই শক্তির মাঝখানে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগকে চলতে হবে নির্বাচন পর্যন্ত। মাঝখানের এই সরু পথে চলা ঝুঁকিপূর্ণ। পা পিছলে গেলে সর্বনাশ। বর্তমানে যেমন সরকার সর্বশক্তি নিয়োগ করে জঙ্গিবাদ দমন করেছে তেমনি আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মৌলবাদী রাজনীতি দমনের জন্য কাজ করতে হবে এই দলটিকে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে দেশের অর্থনীতি গতিশীল হয়েছে। হেফাজত-জামায়াত-বিএনপি’র ব্যাপক ধ্বংসাত্বক রাজনীতি এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার পরেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পাঁচের ঘর থেকে সাতের ঘরে তুলেছে। পাঁচ কোটি মানুষ নিম্ন আয় থেকে মধ্য আয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশ উত্তীর্ণ হয়েছে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে। দেশব্যাপী প্রচুর অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে। অনেক বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণাধীন, পরিকল্পনাধীন। এগুলোর বাস্তবায়ন হলে ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। দেশ-বিদেশে এখন বাংলাদেশের প্রশংসা হচ্ছে। বিগত শতাব্দীর সত্তরের দশকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে বলেছিলেন, “তলা বিহীন ঝুড়ির দেশ”। সেই বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাত্র সাত বছরে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছেন যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি তাঁর ঢাকা সফরের সময়ে বাংলাদেশকে অভিহিত করেছেন “উন্নয়নের রোল মডেল” হিসেবে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার, পরিবারসহ মুক্তিদাতার হত্যা বিচার, সামরিক শাসকদের করা পঞ্চম এবং অষ্টম সংশোধনী বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ইত্যাদির মাধ্যমে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার হয়েছে। অর্থনীতিতে, সামাজিক মানদণ্ডেও অনেকখানি এগিয়েছে বাংলাদেশ। তার পরেও কি বলা যায় যে আগামী নির্বাচনে নিশ্চিন্তে জিতে আসবে বাংলাদেশের কাদামাটিজলে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ! উত্তর হচ্ছে, না। সম্ভাবনার পাল্লা আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকে থাকলেও আজকের দিনে নিশ্চিন্তে বলা যাচ্ছে না যে আগামী নির্বাচনে জিতে আসবে আওয়ামী লীগ। কেন নিশ্চিত ভাবে আওয়ামী লীগের বিজয় সম্পর্কে আগাম বলা যাচ্ছে না তা আলোচনা হওয়া দরকার।
বর্তমান সরকারের সময়ে সংগঠিত বেশ কিছু বড় বড় দূর্নীতি, যেমনঃ শেয়ার বাজার কেলেংকারী, বেসিক ও সোনালী ব্যাংকসহ সরকারী বেসরকারী ব্যাংকগুলো থেকে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়া; বড় বড় অবকাঠামো নির্মানের কাজে বিলম্ব ও কয়েক দফায় হাজার কোটি টাকার খরচ বৃদ্ধি; রাস্তা বানাতে ভারত চীন এবং এমনকি ইউরোপের চেয়ে বেশি খরচ; দেশ থেকে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার; এবং স্থানীয় কিছু নেতাকর্মীদের অনাচার, নির্যাতন, নদী ও ভূমি দখল আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে। প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিরা এবং আওয়ামী লীগের ভেতরে থাকা ও জামায়াত-বিএনপি থেকে এসে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া লোকেরা এইসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। সরকার বা দল এই লুটেরাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কার্যকর এবং দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিতে পারে নি। দূর্নীতি দমন কমিশন নতুন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অবশ্য বেশ কয়েকটা কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম।
সম্প্রতি দলীয় নেতাকর্মীদের দুর্নীতি এবং অনাচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদকের বেশ কয়েকটি বক্তৃতায়। মহামান্য রাষ্ট্রপতিও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। দুর্নীতি দমনে তিনি সামাজিক প্রতিরোধের আহবান করেছেন। আগামী নির্বাচন নির্বিঘ্নে জেতার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা অলআউট যুদ্ধ এখনই শুরু করা দরকার। ভারতের বিগত কংগ্রেস সরকারের সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে নেতা হয়েছেন আম আদমী পার্টির কেজরীওয়াল; ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভারতের আধুনিক ইতিহাস সৃষ্টিকারী, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির দল কংগ্রেস; ভারত পরিচালনার দ্বায়িত্ব পেয়েছে সাম্প্রদায়িক দল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে যুদ্ধ করছেন ঠিক সেভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এখনই একটা প্রকাশ্য যুদ্ধ ঘোষণা করলে বাংলাদেশের কেজরীওয়াল বা বিজেপিরা রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না। এ যুদ্ধ এখনই শুরু করলে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সবলতায় পরিণত হবে; বৃদ্ধি পাবে দলের এবং শেখ হাসিনার ব্যাক্তিগত ইমেজ; এবং একই সঙ্গে তেমনি নিশ্চিত করা যাবে আগামী নির্বাচনের বিজয়।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)