চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

জিআই পণ্য হিসেবে বাংলাদেশের ইলিশের স্বীকৃতি লাভ, দ্বার খুলে গেছে নতুন সম্ভাবনার

ইলিশের ঘ্রাণ মানে বাংলাদেশের সুবাস, এ ছিল এতদিন আবেগ ভালোবাসার গল্প। এখন এ গল্পই পরিণত হলো অধিকারে। শুধু বৈচিত্র্যেই নয় ইলিশ উৎপাদনেও বাংলাদেশ পৃথিবীতে এক নাম্বারে; দেশের সাগর নদীতে প্রাচুর্য বাড়ছে সুগন্ধী এই রূপালী ইলিশের। সেখান থেকেই বাংলাদেশির ইতিবাচক অহংকারের যাত্রা ‘ইলিশ আমাদের’।

বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ইলিশ মাছ। গত ৪৫ বছরে এ উদ্যোগ না নেয়া হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই এই গর্বিত পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দ্বার খুলে গেছে ইলিশ কেন্দ্রিক বহু সম্ভাবনার।

মৎস্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, ইলিশ আমাদের জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ। সে জন্য আমরা ঐতিহাসিক তথ্য প্রমাণাদি দিয়ে ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরে আমরা আবেদন করি যে, ইলিশ আসলে ভৌগোলিক ভাবে বাংলাদেশেরই সম্পদ।

পৃথিবীর দেশে দেশে বাঙালির হাত ধরে এই জাতির ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির দূত হয়ে ইলিশ তার অবস্থান গড়েছে বহু আগে। কিন্তু এবার যখন স্বীকৃতির প্রশ্ন, তখন বিশ্ববাসীর সম্মতি, অনিবার্য এক প্রাপ্তি।

পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিষ্ট্রার সানোয়ার হোসেন বলেন, এর আগে বর্হিবিশ্বে ইলিশের কোন ব্র্যান্ডিং ছিল না। এখন থেকে বিদেশী ক্রেতারা সঠিক পণ্যটি পাবে। এই সকল পণ্য আমাদের ঐতিহ্য ও জাতীয় সম্পদ।

এর পেছনে তৎপরতা আছে অনেকেরই। দেশের পণ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে কাজ করে চলেছে বিল্ড ফর বেটার বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।

উদ্যোক্তা বিল্ড বেটার বাংলাদেশ এর বিপাশা মতিন বলেন, জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন অ্যাক্ট যে আইনের কথা বলা হচ্ছে, সেই আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে পিছনে বিল্ড বেটার বাংলাদেশ একটা ভূমিকা রেখেছি। সারা বাংলাদেশ ঘুরে ৭০টি পণ্যের তালিকা আমরা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি এবং সেই তালিকা অনুযায়ীই এখন রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। এর আগে জামদানি হয়েছে।

শুধু পদ্মা মেঘনা নয়, ইলিশের মূল ঠিকানা এখন বাংলাদেশ।বিশ্বের ৬৫ শতাংশ ইলিশ মাছ উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে। উৎপাদনের এই হার আরো বাড়ানোর প্রশ্নে এসেছে নতুন উৎসাহ, নতুন তাগিদ।

ইলিশের বাজার এখন তুঙ্গে। দামও সস্তা। এর মধ্যেই এসে গেছে শুভ এই বার্তা। দেশের আর সব নিজস্ব পণ্যের ক্ষেত্রেও দ্রুত এই স্বীকৃতি আসুক এই চাওয়া এখন সবার।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: