৯ জুন সন্ধ্যায় লালবাগের নবাবগঞ্জ হোসেনউদ্দিন লেন থেকে নিখোঁজ হয় জগত মোহন স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র হাবিবুর রহমান রিফাত। এর একদিন পরেই ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিতে গিয়ে আজিমপুর ছাপড়া মসজিদের কাছে র্যাবের হাতে ধরা পড়ে অপহরণকারী জুয়েল, তার বাবা হাবিব ও বন্ধু ইকবাল।
রিফাতের অপহরণকারী জুয়েল বলে, ছেলেটিকে (রিফাত) ভুলিয়ে বাসায় নিয়ে এসে ঘুমের ট্যাবলেট মেশানো জুস খাইয়ে অচেতন করি। এরপর বস্তায় ভরে খাটের নিচে রেখে দেই। পরেরদিন সকালে দেখি সে মারা গেছে। বিকেলে লাশটি বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিই।
সকালে র্যাবের একটি দল বুড়িগঙ্গা নদীর কামরাঙ্গীরচর প্রান্তে বারিসুর ঘাটে অভিযান চালায়। দেড় ঘণ্টা নদীতে তল্লাশী চালানের পর বস্তায় মেলে হাত-পা বাঁধা রিফাতের লাশ। খবর পেয়ে নদীর ঘাটে ছুটে যায় তার স্বজনরা।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, জুয়েল মশার কয়েল সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করে। মাদকাসক্ত হওয়ায় টাকার লোভেই রিফাতকে অপহরণ করেছিল। কিছুদিন আগে সে বৌকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
র্যাব ১০ লালবাগ ক্যাম্প কোম্পানি কমান্ডার মেজর জাহাঙ্গীর কবির চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, রিফাত ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের লোভে অপহরণ করেছিল। টাকা চাইলে রিফাতের বাবা র্যাবকে খবর দেয়। এরপর র্যাব জুয়েলকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরোও বলেন, র্যাব পরবর্তিতে অভিযান চালিয়ে জুয়েলের বাবা হাবিব ও তার বন্ধু ইকবালকে গ্রেফতার করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, কয়েক মাস আগে বাড়ি বিক্রি করে লালবাগ থেকে চলে যাওয়ার জন্য জুয়েলের বাবা রিফাতের মাছ ব্যবসায়ী বাবা রফিকুল ইসলামকে হুমকি দিয়েছিলো। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ওই ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কি-না তা খতিয়ে দেখছেন র্যাব।