শেষ হয়েছে পূজা চেরী অভিনীত সিনেমা ‘হৃদিতা’র শুটিং। সুনামগঞ্জের হাওরে দুদিনে গানের শুটিংয়ে মাধ্যমে সিনেমাটির পুরোপুরি কাজ শেষ হয়েছে। হাওরের বুকে ভেসে, বিস্তির্ণ জনপদে শুটিং করে পূজা চেরী বললেন, ‘অন্যরকম শান্তি লাগছে’।
এমন নয়নাভিরাম লোকেশনে শুটিং করে পূজা চেরী ভাগ্যবান মনে করছেন নিজেকে। তিনি বলেন, গানটা যেমন সুন্দর লোকেশনটাও তেমন সুন্দর। অন্যান্য শুটিং শেষ হলে মনের মধ্যে কিছু না কিছু খচখচ করে। কিন্তু হৃদিতার গানের মাধ্যমে শুটিং করে কী যে শান্তি পাচ্ছি বলে বোঝাতে পারবো না!
সুনামগঞ্জ থেকে মুঠোফোনে উচ্ছ্বাস ভরা কণ্ঠে পূজা বলছিলেন, শট দেয়ার পর স্ক্রিনে যখন নিজেকে দেখছিলাম অবাক হচ্ছিলাম। চোখের শান্তি মনের শান্তি সবই পেয়েছি। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) শুটিং শেষ হয়েছে। বুধবার ঢাকায় ফিরবো।
২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৫৫ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটির নাম ভূমিকা ‘হৃদিতা’ চরিত্রে অভিনেত্রী করছেন পূজা। খ্যাতিমান লেখক আনিসুল হকের হৃদিতা উপন্যাস থেকে সিনেমাটি নির্মাণ করছেন যুগল নির্মাতা ইস্পাহানী আরিফ জাহান। সিনেমাটিতে পূজার নায়ক এবিএম সুমন। আগেই বাকি অংশের কাজ শেষ। এবার শেষ হলো পুরো শুটিং।
পূজা বলেন, তাড়াহুড়ো করে শুটিং হয়নি। ধীরে ধীরে জেনে বুঝে পুরো কাজটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, আনিসুল হক স্যারের গল্প, গুণী পরিচালক, সহশিল্পী সবমিলিয়ে খুব চমৎকার ভাবে আমরা হৃদিতার শুটিং করলাম। কিছু কাজ থাকে করার সময় বোঝা যায় কেমন হবে। হৃদিতা করে তেমনই অনুভব করেছি।
পরিচালকদ্বয় বলেন, আগে আমরা যখন নিয়মিত সিনেমা বানাতাম নান্দনিকতার চেয়ে বাণিজ্যিক বিষয়টি প্রাধান্য দিতাম। এখন সাধারণ সিনেমা হলে সেভাবে বাণিজ্য নেই। এজন্য চিন্তা করেছি বাণিজ্য না থাকলেও সরকার যেহেতু অর্থায়ন দিয়েছেন দর্শক প্রশংসা করবে এমন সিনেমা নির্মাণ করা উচিত। যে সিনেমা মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে ভালো চলবে। পাশাপাশি দেশের বাইরেও চালাতে পারবো। তাই মান ভালো করার চেষ্টা করছি।