কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম সৃষ্টি হিমু চরিত্রটি। উপন্যাসের এই চরিত্রটিতে ঘোরগ্রস্ত বাংলার অসংখ্য ছেলে মেয়ে। প্রতিবারের মতো এবারও হিমুতে বুঁদ উঠতি বয়সের তরুণ তরুণীরা হুমায়ূন আহমেদের ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে পায়ে হেঁটে নুহাশ পল্লীতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনটাই চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন হিমু পরিবহণের কো-অর্ডিনেটর আহসান হাবীব মুরাদ।
গেল শতকের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে যাকে স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ লেখক বলা হয় তিনি হুমায়ূন আহমেদ। বাংলা সাহিত্যের এই প্রবাদ পুরুষের ৭০তম জন্মদিন আগামী ১৩ নভেম্বর। আর এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে তার ভক্তদের সংগঠন ‘হিমু পরিবহণ’ দেশব্যাপী ‘হুমায়ূন জন্মোৎসব- ২০১৮’ শিরোনামে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানসূচী হাতে নিয়েছে।
এরমধ্যে ১৩ নভেম্বর সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে ভোরে হিমুদের একটি দল যাবে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ যেখানে শায়িত আছেন সেই স্মৃতি বিজড়িত গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে। পায়ে হেঁটে যাত্রা করবেন তারা। পথিমধ্যে বিলি করবেন ক্যানসার সচেতনা মূলক একটি লিফলেট।
হুমায়ূন আহমেদের শেষ ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশে বিশ্বমানের একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণ করা। সংগঠনটি বিশ্বাস করে হুমায়ূন আহমেদ এর শেষ ইচ্ছা একদিন পূরণ হবে।
শুধু নুহাশ পল্লীতেই নয়, হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে হিমু পরিবহণ রাজধানীতেও দিনব্যাপী কর্মসুচি হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পুরো বারান্দা জুড়ে হুমায়ূন লেখা বইয়ের প্রচ্ছদ প্রদর্শনী করবেন তারা।
ঢাকায় হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনের আয়োজনের বিষয়টি জানিয়ে সংগঠনটির কো-অর্ডিনেটর মুরাদ জানান, হুমায়ূন আহমেদের লেখা প্রায় নব্বই শতাংশ বইয়ের প্রচ্ছদ আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি, যেগুলো দিনব্যাপী প্রদর্শনী হবে টিএসসির বারান্দায়। এছাড়া সন্ধ্যায় টিএসসিতেই হবে হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে আলোচনা সভা। যেখানে উপস্থিত থাকবেন মেহের আফরোজ শাওন, গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়েজি এবং অন্য প্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম।