প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালন করতে এ বছর সৌদি আরব যাবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চলতি মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইট বৃহস্পতিবার (জুলাই ৪) জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে।
৩২ দিনে ১৫৭টি ডেডিকেটেড ও ৩২টি শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১শ ৯৮ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়ও অনেকে যাবেন। এর মধ্যে ৬৩ হাজার ৫শ ৯৯ জনকে পরিবহন করবে বিমান, বাদ বাকি হজ যাত্রীরা সৌদি এয়ারলাইন্সে যাবেন। প্রাক-হজ ফ্লাইট শেষ হবে ৫ আগস্ট। ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে ফিরতি হজ ফ্লাইট।
প্রতিবছর ফ্লাইটে যাত্রী সঙ্কট এবং ভিসা জটিলাতার কারণে অনেক হজ যাত্রী মারাত্মক বিড়ম্বনায় পড়ে থাকেন। কখনো কখনো প্রতারণার শিকার হবারও খবর শোনা যায়। হজ যাত্রীদের এসব সমস্যা দেখতে সরকার তৎপর বলে বিভিন্নসময় ঘোষণা দিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ঠ কর্তাব্যক্তিরা, তারপরেও নানা অনিময় হয়।
যাত্রীদের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম এবং সিলেট থেকেও এবছর যথাক্রমে ১৯টি ও ৩টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে, বিষয়টি ইতিবাচক। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ মাত্র দুটি এয়ারলাইন্স হজ যাত্রীদের পরিবহনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবার কারণে ফ্লাইট শিডিউলে জটিলতা দেখা দেয়। ভিসা প্রাপ্তির সময় ও ফ্লাইটের শিডিউলের সমন্বয় না হওয়ায় এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয় বলে জানা গেছে।
হজ অফিসে ভিসার জন্য ডিও ইস্যু করা থেকে শুরু করে সৌদি দূতাবাস থেকে দ্রুত সময়ে হজ যাত্রীদের ভিসা দেয়ার প্রক্রিয়ায় সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা দরকার হলে তাও করা দরকার। সৌদি আরবে গিয়ে থাকার বাসস্থানের নিশ্চয়তা না হলে সৌদি কর্তৃপক্ষ ভিসা দেয় না, বাসস্থান নিয়েও অনেকসময় প্রতারণার শিকার হয় হজ যাত্রীরা।
বেসরকারি পর্যায়ে হজ এজেন্টদের মাধ্যমে যারা হজ পালনের জন্য প্রস্তুতি নেন, তারা অনেকসময় প্রতারণার শিকার হন। এসব ক্ষেত্রে আগ্রহী হজ যাত্রীদের আরো সচেতন হওয়া দরকার এবং কোনো ধরণের অনিয়মের আভাস পেলে বিষয়টি প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে দেয়া যেতে পারে।
সার্বিকভাবে বিষয়গুলোতে আরও মনোযোগ দেয়া দরকার বলে আমরা মনে করি। আমাদের আশাবাদ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হজ যাত্রীদের নিরাপদ ও ঝামেলামুক্ত হজযাত্রার ব্যবস্থা করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।