একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অবাধ সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দাবি করে নিশ্চিত জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
রোববার বিকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমনটা দাবি করেছেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।
তিনি বলেন: বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যার শিকার আওয়ামী লীগ। তবুও যেকোন মানদণ্ড আজকের নির্বাচন ছিলো ঐতিহাসিক। ৪০ হাজার ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ১২টি এলাকার ১৬টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা ছিলো আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পর্যবেক্ষক, পোলিং অফিসার ও সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা।
দলের পক্ষে দেওয়া এ বক্তব্যে আবদুর রহমান বলেন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া ও সকলের অংশ গ্রহণের জন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে অভিনন্দন জানান।
বিএনপি-জামায়াতের বড় ধরণের সহিংসতার পরিকল্পনা ছিলো দাবি করে তিনি বলেন: তাদের বড় ধরণের সহিংসতা-নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু সাংগঠনিক সমর্থ না থাকায় তা বাস্তবতার মুখ দেখেনি।
ড. কামাল হোসেনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও এর জবাবে তাদের সাংগঠনিক সমর্থনের বিষয়টি আবারও সামনে নিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।
নির্বাচনে পরাজয়ে বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট আবারও যদি ২০১৪ সালের মতো সহিংসতার প্রয়াস চালায় তা আওয়ামী লীগ নয় দেশের জনগণ রুখে দেবে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সময়ে সহিংসতায় ক্ষমতাসীনদের যে নেতা-কর্মীরা নিহত হয়েছে তাদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।