নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ সহকারী অধ্যাপক মোবাশ্বের হাসান সিজারকে খুঁজে বের করার দাবিতে আরও একটি অনলাইন পিটিশন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির সিকিউরিটি স্টাডিজ প্রোগ্রাম-এর সহযোগী অধ্যাপক সি. ক্রিস্টিন ফেয়ার এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির পলিটিকস অ্যান্ড গভর্নমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক আলী রিয়াজ মিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর আবেদন জানিয়ে পিটিশনটি চালু করেছেন।
চেঞ্জ.ওআরজি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই পিটিশনের বিষয়বস্তু হিসেবে দেয়া বিবৃতিতে লেখা হয়েছে:
‘অধ্যাপক মোবাশ্বের হাসান, বাংলাদেশের ঢাকার অধিবাসী রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক তরুণ অধ্যাপক। তিনি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নিরুদ্দেশ। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যেন তাকে তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে বের করে ফিরে আসা নিশ্চিত করা হয়।
সময় এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দয়া করে এটা নিশ্চিত করুন যেন ড. হাসান বাংলাদেশের আরেকটি ‘গুম’-এর ঘটনা না হয়ে যান। এখনই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন।’
এরপর সিজারের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং গণমাধ্যমে তার নিখোঁজ হওয়ার খবরের লিংক উল্লেখ করা হয়। তারপর সিজারের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে লেখা হয়, ‘গত ১০ সপ্তাহে এক সাংবাদিক, এক বই আমদানীকারক এবং এক ব্যবসায়ীসহ কমপক্ষে ১০ জন ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন। জোরপূর্বক গুম করার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে গেছে। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫০ জনের গুম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং পরিবারের সদস্যরা বারবার বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, বিশেষ করে র্যাবকে এসব গুমের ঘটনার পেছনে দোষী বলে দাবি করেছে।’
পিটিশনে বলা হয়, মোবাশ্বের হাসান সিজারের নিরুদ্দেশ হওয়ার পর থেকে তাকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা তো দূরের কথা, খুঁজে বের করার চেষ্টাও সরকার যথেষ্ট দ্রুত এবং তৎপর নয়। তাই এই পিটিশনে জনগণের সই নেয়ার মাধ্যমে আয়োজকরা চাইছেন বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দিতে, সরকারের দায়িত্ব মতপার্থক্য নির্বিশেষে দেশের সব জনগণকে রক্ষা করা।
এর আগে সিজারকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে অনলাইন পিটিশন শুরু করে অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন সিজার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গোপিটিশন.কম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ওই অনলাইন পিটিশনটি চালু করেন লুসি ওয়েস্ট, ড. শ্যানন ব্রিনক্যাট ও ড. লি মরগেনবেসার।