ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৩ শিক্ষার্থী।
হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়েছে। যদি হামলার বিচার না করা হয়, সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
ছাত্রজোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ইমরান হাবীব রুমন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ছাত্ররা এখানে অবস্থান নিয়েছে। আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ চাই। হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন আগামীকাল দুপুর বারটায় সারাদেশে প্রগতিশীল ছত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।’
বুধবার সাড়েবারটায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচী জানানো হবে বলে তিনি জানান।
আজ দুপুর ৩ টার দিকে হঠাৎ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে প্রক্টরবিরোধী ছাত্রদের উপর হামলা চালোনো হয়। এ সময় বিভিন্ন হল থেকে আসা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের টহল দিতে দেখা যায়।
তাদের হামলায় আহত হয় বহু শিক্ষার্থী। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, রড, লাঠিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে উপাচার্য ভবনে অবস্থান নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় কারো কারো শরীর থেকে রক্ত ঝরতেও দেখা গেছে। অনেকে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে হামলা থেকে বাঁচতে সাহায্য চাইতে দেখা যায়।
এদিকে এই ঘটনার পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবার হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের বিচার দাবি করে বলেন, আমরা চার পাঁচ দিন ধরে আন্দোলন ও বিক্ষোভ দেখে আসছি। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। বহিরাগত ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি স্যার অবরুদ্ধ ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের এক দফা এক দাবি, বাম সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে। হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কোন হাত নেই। বরং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুই পক্ষকে শান্ত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। ছাত্রলীগের এই চেষ্টার কারণে অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।