বহু কষ্ট, স্ট্রাগল সহ্য করে এবং সাধারণ মানুষের আস্থার উপর নির্ভর করে যে একটি সিনেমা নির্মাণ করা যায়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তরুণ নির্মাতা যুবরাজ শামীম। টানা কয়েক মাস থেমে থেমে দৃশ্য ধারণের পর সোমবার(১৯ মার্চ) শেষ হলো সাধারণের টাকায় নির্মিতব্য ‘আদিম’। সোমবার সন্ধ্যায় চ্যানেল আই অনলাইনকে এমনটাই জানালেন নির্মাতা।
বহুদিন ধরেই ‘আদিম’ ছবিটির শুটিং নিয়ে রীতিমত স্ট্রাগল করে যাচ্ছিলেন তরুণ নির্মাতা যুবরাজ শামীম। ভিন্ন ধারার গল্প, বাস্তব চরিত্র, নেচারাল লোকেশন সব মিলিয়ে অভিনব এক অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে ‘আদিম’ ছবির দৃশ্য ধারণ আপাতত শেষ করলেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। শিগগির যাচ্ছে সম্পাদনায়।
মাস কয়েক ধরেই টঙ্গির একটি বস্তিতে শুটিং করছিলেন যুবরাজ শামীম। তার ছবির কাহিনী বস্তিকে কেন্দ্র করেই। তার ছবির চরিত্ররাও বস্তিতেই বাস করেন। গ্রুমিং করিয়ে সেখানকার বস্তির মানুষদের নিয়েই অভিনয় করিয়েছেন তিনি। সবকিছু একেবারে নেচারাল। তবে শুটিং করতে যেয়ে বার বার অর্থ কষ্টে পড়তে হয়েছে এই নির্মাতাকে। থেমে থেমে শুটিং করেছেন। শেষ পর্যন্ত গণমানুষকে এই ছবিতে যুক্ত করেছেন অভিনব পদ্ধতিতে। ছবির শেয়ার বিক্রি করেছেন একেবারে সাধারণ মানুষের কাছে। শেষ পর্যন্ত মানুষের টাকায় ছবির শুটিং শেষ করেছেন নির্মাতা।
‘আদিম’ নিয়ে নির্মাতা জানান: ছবির দৃশ্য ধারণ পুরোপুরি শেষ নয়। তবে আপাতত শেষ করেছি। বর্তমানে বস্তি দখল নিয়ে, বস্তি এখন বেশ উত্তপ্ত। শেষ পর্যন্ত আর পারলাম না। তবে এবারও প্রকৃতি কাকতালীয়ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধান কাজগুলো শেষ করেছি। টুকটাক দৃশ্যগুলো আগামি শীতে শুট করবো। এখন এডিটিং প্যানেলে যাবো। ছবিটি করতে যেয়ে প্রচুর অপরিচিত মানুষ শেয়ার কেনার মাধ্যমে আমাকে সহায়তা করেছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন লড়াই শুরু হবে পোস্ট প্রডাকশন নিয়ে।
‘আদিম’ চলচ্চিত্রে কোনো তারকা নেই, প্রফেশনাল অভিনেতা নেই, কোনো প্রযোজক নেই। গল্প, চিত্রনাট্য ও নির্মাণে রয়েছেন যুবরাজ শামীম নিজেই। সিনেমাকারের ব্যানারে নির্মিতব্য ছবিটির নির্বাহী প্রযোজক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে আছেন আমির হামযা ও আনন্দ। ছবিতে চরিত্র প্রায় দেড় শতাধিক। তবে মূল চরিত্রে দেখা যাবে দুলাল, সোহাগী, বাদশা ও তুফানীকে।