নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ১৬ ঘণ্টা পর এম এল আফসার উদ্দিন নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি উদ্ধার করেছে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
সোমবার ভোর ৬টার দিকে মাঝ নদী থেকে লঞ্চটিকে উদ্ধার করে টেনে পাড়ে নিয়ে আসা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারীরা লঞ্চটির ভেতরে তল্লাশি চালায়। ফিরে এসে তারা জানান, লঞ্চের ভেতরে কোন মরদেহ পাওয়া যায়নি তবে উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। এখন অবধি মোট ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম জানান, রাত ১০টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ঘটনাস্থলে আসে। পরে সারারাতের চেষ্টায় ভোরের দিকে লঞ্চটি আলামিন নগর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে আনা হয়।
তিনি জানান, নদীতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের উদ্ধারে নদীর তলদেশে ও নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তল্লাশি করা হবে।
অন্যদিকে এখনও কয়েকজন তাদের নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রসাশন বিভাগ থেকে সদ্য পাশ করা শিক্ষার্থী জাবের এবং মুন্সিগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকসহ কমপক্ষে পাঁচজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায় নৌ পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন।
গতকাল দুপুর সোয়া দুইটার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ যাওয়ার পথে সিটি গ্রুপের মালবাহী জাহাজ রূপসী ৯ এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এল এম আফসার উদ্দিন ডুবে যায়। ঘটনার পরপরই বিআইডব্লিটিএ ফায়ার সার্ভিস কোস্টগার্ড উদ্ধারকাজ শুরু করে। এতে ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আজ একজনের লাশ উদ্ধার করা হলেও তার পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি এখনো।
যাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন, মুন্সিগঞ্জ সদরের উত্তর ইসলাম পুরের ব্যবসায়ী জয়নাল ভূইয়া (৫৫), মুন্সিগঞ্জের সদরের আরিফা আক্তার (৩৫), তার ছেলে সাফায়েত (১৫ মাস), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সালমা বেগম (৪০), তার মেয়ে ফাতেমা (৭), মুন্সিগঞ্জ সদরের স্মৃতি (২০)।