গত দুই দিনের মতো আজ মঙ্গলবারও শোকে স্তব্ধ বনানী ২ নম্বর রোডের শেখ ফজলুল রহমান সেলিমের বাড়ি। সকাল থেকে কোরআন খতমের পাশাপাশি বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে সেলিমের পরিবারের অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষীকে।
প্রিয় নাতি শিশু জায়ান চৌধুরীর অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমকে সমবেদনা জানাতে সবাই এখানে আসছেন।
মঙ্গলবার সকালে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এসে ঘুরে গেছেন।
সকাল থেকেই বাড়ির বাইরে অবস্থান করছে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী। এদের অনেকেই আবার গতকাল রাতেও কাটিয়েছেন এখানেই৷ প্রিয় নেতার দুঃসময়ে পাশে থাকতে চাইছেন তারা।
জায়ানের জানাজায় বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠ প্রস্তুত করে তোলার কাজ চলছে বেশ জোরেশোরে। এরই মধ্যে প্যান্ডেল টাঙ্গিয়ে সেখানে আগত লোকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জায়ানের মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত একদিন পিছিয়ে আগামীকাল বুধবার নির্ধারিত হয়েছে। জানা গেছে: মরদেহের সঙ্গে মোট ৮ জনের ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবারের জন্য শুধু ৩ জনের টিকেট সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। তাই শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বুধবার মরদেহ সহযোগে সকলের দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত হয়।
গতকাল সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বানানী ২ নম্বর রোডে শেখ সেলিমের বাসা থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
বুধবার বিমান যোগে জায়ানের মরদেহ ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে। সেখান থেকে মরদেহ সরাসরি বনানীর বাসায় নিয়ে আসা হবে। তারপর স্থানীয় চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে জানাজা শেষে বনানী কবর স্থানে দাফন করা হবে।
ওই সিরিজ বোমা হামলায় জায়ানের বাবা শেখ সেলিমের জামাতা মশিউল হক চৌধুরী আহত হয়ে শ্রীলঙ্কার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত রোববার শ্রীলঙ্কার ৩টি গির্জা ও ৩টি হোটেলসহ মোট ৮টি স্থাপনায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। যাতে ২৯০ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায়। যার একজন জায়ান চৌধুরী৷ জায়ানের বাবা মশিউল আহত হলেও নিরাপদে রয়েছেন তার মা এবং দুই ভাই।
এ ঘটনার পরই শেখ সেলিমের স্ত্রী ও এক পুত্র শ্রীলঙ্কা পৌঁছে অবস্থান করছেন। মরদেহের সঙ্গে তারাও দেশে ফিরবেন।