তিন সংস্করণ মিলে একশর বেশি ম্যাচ খেলা সাব্বির রহমান অবশেষে পেলেন তিন অঙ্কের দেখা। ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে জ্বলে ওঠেন নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে বাংলাদেশ দলে ফেরানো এই ক্রিকেটার। ক্যারিয়ারের তিন বছরের মাথায় এসে প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সাব্বির।
ওয়ানডেতে আগের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ৬৫, টেস্টে ৬৬, আর টি-টুয়েন্টিতে ৮০ রান। এবারই প্রথম তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাব্বির। তিন ফরম্যাট মিলে একশর বেশি ম্যাচ খেলে পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। ১০৯তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আর ১১৩তম ইনিংসে ১০৫ বলে শতকে পৌঁছান। ১২টি চার, ২ ছক্কায় সাজান ইনিংস তার।
সাব্বির ছাড়া নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সেঞ্চুরি আছে বাংলাদেশের কেবল দুই ব্যাটসম্যানের। ২০১৫ বিশ্বকাপে করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার আগে ২০১০ সারে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সেঞ্চুরি হাঁকান ইমরুল কায়েস।
তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা যেখানে দাঁড়াতেই পারছেন না, সেখানে সাব্বির করলেন সাবলীল ব্যাটিং, খেললেন লম্বা ইনিংস। কঠিন কন্ডিশনকেই বানালেন সেঞ্চুরি উদযাপনের মঞ্চ।
৬১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর বড় জুটির দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাটে ভদ্রস্থ হয় বাংলাদেশের স্কোর।
৩৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং নেমে নিউজিল্যান্ড পেসারদের গতির সঙ্গে সুইংয়ের বৈচিত্র্য বুঝতে হিমশিম খায় বাংলাদেশের টপ অর্ডার।
ডানেডিনে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে ব্যাটিংয়ে নামা সফরকারী দল ৪০ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। কিউই পেসার টিম সাউদি তার প্রথম ২ ওভারে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন তামিম ইকবাল (০), সৌম্য সরকার (০) ও লিটন দাসকে (১)।
২ রান তুলতে তিন উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। খানিকটা থিতু হয়ে মুশফিক সাজঘরে ফিরে যান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৩৮ রান।
ট্রেন্ট বোল্টের বলে কলিন মুনরোর হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে পাঁজরের চোট নিয়ে খেলা মুশফিক করেন ১৭ রান। ২৭ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চারের মার।
সাব্বিরের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর পঞ্চম জুটিটি ২১ রানের। কলিন গ্র্যান্ডহোমের বলে মুনরোর হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেন ১৬ রান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিলেও ছিলেন বেশ খরুচে। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৯৩ রান।