রমজান শুরু হওয়ার প্রায় ২০দিন আগ থেকেই ছোলা, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও খেজুরের দাম বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে চাল, গরুর মাংস, আদা ও রসুনের দামও বাড়তি। রোজায় সবচেয়ে চাহিদা থাকা এসব পণ্যের অতিরিক্ত দাম ক্রেতাদের অস্বস্তির কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
রাজধানীর কয়েকেটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকায়। দেশী মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায় ও ইন্ডিয়ান ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০টাকায়। খেসারি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার সময় মসুর ডালের দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাঁচ লিটারের বোতলজাত ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ৪৯০-৫২০ টাকায়। রোজায় একনম্বরে চাহিদা থাকা খেজুর বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০-৪০০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংসের দাম বেড়ে ৪৮০-৫০০ এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়। এ যাবতকালের গরুর মাংসের দাম এটিই সর্বোচ্চ।
বাজারে শুধুমাত্র পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। তবে মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে রসুন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়।
রোজায় বহুল ব্যবহৃত এসব পণ্যের দাম আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
তবে ‘রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না’ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এমন আশ্বাস দেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও ভোক্তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, রমজানে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে।
অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের হয়রানি প্রতিরোধে মজুদদারি আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।