বেতন কমানো নিয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বনিবনায় আসতে পারছে না বার্সেলোনা। তারা চায় ৩০ শতাংশ হারে বেতন কম নেন মেসি-পিকেরা। করোনায় শুধু তাদের অবস্থাই কাহিল নয়, বেতন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কাতালানদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদও।
ইএসপিএন এফসির খবর, বেতন কম নেয়ার জন্য খেলোয়াড়দের অনুরোধ জানানো হয়েছে লস ব্লাঙ্কোসদের পক্ষ থেকেও।
মহামারীর সময়ে একদফা বেতন কাটা হয়েছে। সেসময় ক্লাবের দুরবস্থা চিন্তা করে কোনো উচ্চবাচ্য করেননি রামোস-বেনজেমারা। রিয়াল চাইছে ক্লাবকে উদ্ধার করতে আরও একবার এগিয়ে আসুন তারা। মৌসুমের খরচের বাজেট চূড়ান্ত করতে অল্প সময় বাকি। খেলোয়াড়রা রাজি হলে সেই হিসেব ধরেই বাজেট চূড়ান্ত করবে মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
মহামারী শুরুর দিকে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বুঝে ১০ থেকে ২০ শতাংশ হারে বেতন কেটেছিল রিয়াল। এবার কত কাটা হতে পারে সেটা এপর্যন্ত জানা যায়নি। খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে অধিনায়ক সার্জিও রামোস, মার্সেলো, করিম বেনজেমা ও রাফায়েল ভারানের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ক্লাবকর্তারা।
করোনায় রিয়ালের আর্থিক দুরবস্থা বেশ ভালোই টের পাওয়া যাচ্ছে। গত একদশকে এ মৌসুমে প্রথমবার কোনো খেলোয়াড় কেনা হয়নি। ২০১৯-২০ মৌসুমে লা লিগা জেতার পর প্রত্যাশিত বোনাসও ক্লাবের কাছ থেকে চাননি খেলোয়াড়রা। তারা রাজি হলে ক্লাবের সঙ্গে জড়িত অল্প আয়ের কর্মীদের চাকরি বেঁচে যাবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
বেতন নিয়ে বার্সা আর খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বন্দ্ব চললেও রিয়ালে পরিস্থিতি অনুকূলে আছে। খেলোয়াড়রা ক্লাবের প্রতি সহনশীল। যে কারণে বেতনের ব্যাপারে খুব বেশি উচ্চবাচ্য হবে না বলেই মনে করছে ইএসপিএন। সবাই মিলে ক্লাবকে মহামারী কারণে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রিয়ালের পক্ষ থেকে।
দর্শকরা এবার মাঠে না ঢুকতে পারায় ভীষণ আর্থিক ক্ষতির মুখের পড়েছে ইউরোপের প্রায় সব বড় ক্লাবই। লা লিগা থেকে ইএসপিএনকে জানানো হয়েছে, ম্যাচ প্রতি এবার ৩০ থেকে ৪০ লাখ ইউরো কম পাচ্ছে ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো। যে কারণে বাধ্য হয়েই খরচ সংকোচনের জন্য খেলোয়াড়দের বেতনে হাত দিতে হচ্ছে তাদের।