শিশু রাজন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত শুনানি শেষে মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক সাহেদুল করিম চার্জশিট আমলে নেন। একইসাথে অভিযুক্ত তিন পলাতক আসামি, সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ এবং আরেক হোতা পাভেলকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারিসহ তাদের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩১ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন আদালত।
গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে সৌদিতে আটককৃত কামরুল ইসলাম এবং তার ভাই শামীম আহমদ ও আরেক হোতা পাভেলকে পলাতক দেখানো হয়েছে। এছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হচ্ছেন কামরুলের ভাই আলী হায়দার, মুহিদ আলম, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।
গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার মূল আসামী কামরুলকে পলাতক দেখিয়ে তার ভাই মুহিত ও শামীম এবং চৌকিদার ময়নাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সিলেট আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার হত্যাকাণ্ডের এক মাস ৮ দিন পর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্র দেয়া হয় সিলেট মহানগর হাকিম ফারাহানা মোবিনের আদালতে। অভিযোগপত্রে আসামী মুহিত আলম, ইসমাইল হোসেন আবলুস, আলী হায়দার, রুহুল আমিন, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ময়না, আয়াজ আলী, বাদল, লিপি বেগম, ফিরোজ ও আছমত আলীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গত ৮ জুলাই চুরির অপবাদ দিয়ে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে কয়েক যুবক। নৃশংস এ হতাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয় পুরো দেশ। এরপর তৎপর হয় প্রশাসন।