জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাঠানো নোটিস চ্যালেঞ্জ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপার করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে রূপার রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উঠলে আদালত শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনি (রূপা) তো আমাদের প্রতিবেশি। আমরা পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকি। তাই এই (রিটটি) বিষয়টি আপনারা শুনানির জন্য অন্য বেঞ্চে নিয়ে যান। যেহেতু আমরা কাছাকাছি থাকি তাই এই বিষয়টি আমরা শুনতে চাচ্ছি না।’
এরপর আদালত এখতিয়ারভুক্ত অন্য কোন বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপনের স্বাধীনতা দিয়ে রিটটি এই বেঞ্চের কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন দুই বিচারপতি।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী সুরাইয়া বেগম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
গত বুধবার দুদকের উপ-পরিচালক (অনুসন্ধান কর্মকর্তা) মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত এক নোটিসে বলা হয়, ‘ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহন করে জি কে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সাথে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
এমতাবস্থায় উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি সঙ্গে নিয়ে আগামী ৪ নভেম্বর সকাল ১০টায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে অনুরোধ করা হল। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।’
দুদকের ওই নোটিসটি চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাইকোর্টে রিট করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপা। রিটে দুদকের ওই নোটিসের কার্যকারীতা স্থগিত চাওয়া হয়।