বিশ্ব মহামারী কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে যখন জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্র, ঠিক সেই সময়ই দেশটিকে জাতিসংঘের বকেয়া অর্থ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে চীন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে চীন জাতিসংঘের সব সদস্য দেশকে সক্রিয়ভাবে তাদের আর্থিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ওয়াশিংটনকে জাসিংঘের ২ বিলিয়ন ডলার বকেয়া আদায় করতে হবে।
চীন জাতিসংঘের সেক্রেটারী জেনারেল কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বৃহস্পতিবার জানায়, কয়েক বছর ধরে জাতিসংঘে কাছে যুক্তরাষ্ট্রের যথাক্রমে ১.১৬৫ বিলিয়ন এবং ১.৩৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া আছে।
জাতিসংঘে মার্কিন মিশন চীনের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, চীন কোভিড-১৯ সংকটের অব্যবস্থাপনা থেকে মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে চায়, এটি তার আর একটি দৃষ্টান্ত।
যুক্তরাষ্ট্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র শান্তিরক্ষা মিশনে সম্প্রতি ৭২৬ মিলিয়ন প্রদান করেছে, মূলত বকেয়া ছিলো ৮৮৮ মিলিয়ন ডলার। মূলত দুই তৃতীয়াংশই প্রদান করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী দেশ। সংস্থার বার্ষিক ব্যয়ের ২২ শতাংশ যা ৩ বিলিয়ন ডলার এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ২৫ শতাংশ, যা ৬ বিলিয়ন ডলার প্রায় প্রদান করে থাকে। যদিও শান্তিরক্ষা মিশনে ২৮ শতাংশ প্রদান করার কথা। কিন্তু ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সেই বাজেট হ্রাস করে দেয়।
চীন জাতিসংঘের চলমান ব্যয়ের প্রায় ১২ শতাংশ এবং শান্তিরক্ষা বাজেটের প্রায় ১৫ শতাংশ প্রদান করে। মূলত জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থ সহায়তাকারী দেশ চীন।
বৃহস্পতিবার চীন সহ ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রায় ৫০ টি দেশ তাদের অর্থ পুরোপুরি প্রদান করেছে জাতিসংঘে।