কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫০৫তম দিনে দেশে করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্তের নতুন রেকর্ড হয়েছে।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ১৯২ জন। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
এরআগে ১২ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ১৩ হাজার ৭৬৮ জন। আর নতুন ২৪৭ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৫০ হাজার ৯৫২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫ হাজার ১৯২ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৫৫ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৪ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬৯টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৫ লাখ ৬ হাজার ২৩৩টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৫২ জনসহ মোট ১০ লাখ ৯ জার ৯৭৫ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২২৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৪১ জন পুরুষ ও ১০৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ২২০ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১৬৫জন, বেসরকারিতে ৫৫ জন) ও বাড়িতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে মৃত্যু অবস্থা আনায়ন ১জন। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৯ হাজার ৫২১জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ১৭ হাজার ২১৪ জন, যার শতকরা হার ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন এক হাজার ৭৯২ জন, যার শতকরা হার নয় দশমিক১৮ শতাংশ। বাসায় ৪৯৪ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৫৩। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ২১ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৩৪০ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং ছয় হাজার ১৮১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৪৭ জনের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী দু’জন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী ৩ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৬ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩০ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৯ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৭৩ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪৫ জন, আশি উর্ধ্ব ১৭ এবং নব্বই উর্ধ্ব দু্ইজন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১২জন, সিলেট বিভাগে ১৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৯ কোটি ৪৯ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪১ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৭ কোটি ৬৯ লাখের বেশি।