স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী দিলীপ নামের ‘মৃত’ ব্যক্তি জীবিত ফেরার ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলবসহ আসামিদের হাজিরের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট।
আগুনে পোড়া এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত বছরের ২১ এপ্রিল চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। সে মামলায় দুর্জয় ও জীবন নামে দুজনকে গত বছরের ২৫ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের মধ্যে জীবন চক্রবর্তী ১৬৪ ধারায় ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে বলা হয়, দিলীপ নামের এক ব্যক্তিকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে বস্তায় ভরে আসামিরা। পরে নড়াচড়া করলে দিলীপের গায়ে তারপিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে পোড়া মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত বছরের ২ মে চট্টগ্রামের আদালতে দিলীপ নামের ব্যক্তিকে হাজির করেন। এরপর আদালত দিলীপকে নিজ জিম্মায় দেন।
পরবর্তীকালে বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করেন এই মামলার আসামি দুর্জয়। তবে সে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। পরে ওই নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন দুর্জয়। দুর্জয়ের এই জামিন আবেদনের শুনানির সময় মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আসে দিলীপের বিষয়টি। এরপর আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল্লাহকে তলব করেন। তাকে মামলার কেস ডকেট (নথিপত্র) নিয়ে আগামী ২২ অক্টোবর আদালতে হাজির হতে বলা হয়।
এছাড়া ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দিলীপকে ওইদিন আদালতে উপস্থিত করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম কারাগারে থাকা এই মামলার দুই আসামি জীবন চক্রবর্তী ও দুর্জয়কেও সেদিন হাইকোর্টে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়। এসময় আদালতে দুর্জয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।