জাতীয় নির্বাচনের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে মাশরাফীকে নাও পাওয়া যেতে পারে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মাশরাফীর খেলা না খেলার ব্যাপারে নাজমুল হাসান বলেন, ‘ওর মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার একটা তারিখ আছে। কবে পূরণ করবে, ওখানে কর্মসূচি কী, ঠিক জানি না। আজ ওর সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তখন বিস্তারিত কথা হবে। যদি সুযোগ থাকে সে অবশ্যই খেলবে।’
মাশরাফীকে না পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে মূলত এই ‘যদি সুযোগ থাকে’ ব্যাপারটি থেকেই। নির্বাচনের ঝামেলা পাশ কাটিয়ে ওয়ানডে অধিনায়ক খেলতে পারবেন কি না, সেটাই প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট জয়ের পর মাঠে দাঁড়িয়েই আশার কথা বললেন নাজমুল হাসান, ‘একদিনের জন্যও যদি সময় থাকে সে অবশ্যই খেলবে। খেলাটা ওর কাছে সব সময়ই প্রাধান্য পাবে।’
মাশরাফী নড়াইল-২ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। শুরুতে মাশরাফী-সাকিবের দুজনেরই নির্বাচন করার কথা শোনা যায়। পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন সাকিব। সেটি নিয়েও বললেন বিসিবি সভাপতি।
‘সাকিবও করতে চেয়েছিল। যেহেতু সে আরও চার-পাঁচ বছর খেলবে, তাই সাকিবকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঠিক আছে তুমি খেলো। মাশরাফীর ব্যাপারটা ভিন্ন। ও কতদিন খেলবে ঠিক নিশ্চিত না। ওর যে শারীরিক অবস্থা, এখনো যে খেলছে এটাই তো অনেক। সে খেলোয়াড় হিসেবে খেলে না, আমাদের দলে অধিনায়ক হিসেবে খেলে। ওর অধিনায়কত্ব আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ওর মতো অধিনায়ক খুঁজে পাচ্ছি না, পাবও না মনে হয়। সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে বড়জোর বিশ্বকাপের পর হয়তো মাশরাফী অবসরে যাবে। সেটি যদি হয় মাত্র কয়েক মাসের ব্যাপার। এটা হলে এরচেয়ে ভালো প্রস্থান আর কিছু হতে পারে না। কয়েকমাস পর অবসর নিলে সে এই সাড়ে চার বছর আর করবেটা কী? আরেকটি ক্ষেত্রে সে থাকল, যেখান সে ক্রীড়াক্ষেত্রে জোরাল অবস্থান রাখতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত আছে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তিন ওয়ানডে মাঠে গড়াবে ৯, ১১ ও ১৪ ডিসেম্বর।