মালয়েশিয়ার বন্দীশিবিরে আটক রয়েছে শত শত অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশী এবং মিয়ানমারের নাগরিক। সম্প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারনেশনাল গবেষণা আকারে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
মানবপাচারের শিকার এদের অধিকাংশই এক বছর আগে মালোয়েশিয়ায় আটক হন। তাদেরকে সাগর থেকে তুলে নিয়ে এসে বন্দী করে রাখা হয়েছে বলে গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশীদের মধ্যে অনেকেই আবার মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা। এ পর্যন্ত আটক থাকা ১১০০ লোকের মধ্যে ৪০০ জনই রোহিঙ্গা বলে নিশ্চিত করেছে মানবাধিকার সংগঠনটি। তবে এদের মধ্যে এখনও অনেক বাংলাদেশী রয়েছে, যারা মানবেতর জীবন যাপন করছে।
মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়া ১১০০ মানুষের মধ্যে ৫০ রোহিঙ্গাকে আন্তর্জাতিকভাবে রিসেটেল হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়। ৬৭০ বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। বাকি প্রায় ৪০০ জনকে আটক রাখা হয় বেলান্টিক নামের একটি বন্দীশিবিরে।
অ্যামনেস্টির গবেষক খাইরুন্নিসা ঢালা বলেন, ‘মালয়েশিয়ার বন্দীশিবিরগুলোর অবস্থা ভয়াবহ রকম খারাপ’।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে সাক্ষাৎকার চালিয়ে এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এক বছর চলে গেল। এই মানুষগুলো যারা ভয়াবহ অবস্থা পাড়ি দিয়েছে, তারা এখনও শাস্তি পাচ্ছে। তাদেরকে মানবপাচারের ভিকটিম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না।’