এখন থেকে দেশের ব্যাংকগুলোর স্বল্পমেয়াদী তহবিল তদারকি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতি ১৫ দিন পরপর ব্যাংকগুলোর ‘হোলসেল বরোয়িং’ তথা স্বল্প মেয়াদী তহবিলের তথ্য জানাতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এছাড়া এখন থেকে ‘কমিটমেন্ট’ বা নন-ফান্ডেড দায়ের বিষয়েও প্রতি মাসের তথ্য পাঠাতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করে তা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
সাধারণত ব্যাংকগুলো নগদ তহবিলের প্রয়োজনে কলমানি মার্কেট (আন্তব্যাংক ধার ব্যবস্থা) বা অন্য কোন ব্যাংক থেকে স্বল্পমেয়াদে অর্থ ধার নেয়। এটি ধারগ্রহণকারী ব্যাংকের জন্য এক ধরণের দায়-দেনা।
এছাড়া আমদানি-রপ্তানী কার্যক্রমে ঋণপত্র (এলসি) বা বিলের বিপরীতে স্বীকৃতি (কমিটমেন্ট) দিয়ে থাকে ব্যাংক। ওই স্বীকৃতি দেওয়া বিল অন্য ব্যাংকে বন্ধক রেখে গ্রাহক ঋণ নিতে পারেন। এটিও স্বীকৃতিদাতা ব্যাংকের জন্য এক ধরনের দায়। তবে এটির সঙ্গে সরাসরি যেহেতু টাকা দিতে হয় না এজন্য এটি নন-ফান্ডেড দায়। কোন কারণে গ্রাহক অর্থ ফেরত না দিলে স্বীকৃতিদাতা ব্যাংকই ওই অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বল্পমেয়াদি তহবিলের ওপর ব্যাংকের নির্ভরশীলতা কমানো এবং স্থিতিপত্র বহির্ভুত আনুষঙ্গিক দায় ও প্রতিশ্রুত তথা নন-ফান্ডেড ঋণের সর্বোচ্চ সীমার বিষয়ে একটি নীতিমালা রয়েছে। ২০১৬ সালে জারি করা দায়-সম্পদ ব্যবস্পাপনা (এএমএল) শীর্ষক ওই নীতিমালায় ‘হোলসেল বোরোয়িং’ এবং ‘কমিটমেন্ট’ সংক্রান্ত বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। এখন এ বিষয়ে কার্যকর তদারকি করার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোকে সব তথ্য দিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, হোলসেল বরোয়িং বিষয়ে প্রতি মাসের ১ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত প্রথম ১৫ দিনের রিপোর্ট পাঠাতে হবে। আর ১৬ থেকে ৩০ তারিখের জন্য দ্বিতীয় রিপোর্ট পাঠাতে হবে। প্রতিবারই ১৫ দিন শেষ হওয়ার তিন দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিপোর্ট পাঠাতে হবে।
আর কমিটমেন্ট বিষয়ে প্রতি মাসে একবার তথ্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে মাস হওয়ার ৫ দিনের মধ্যে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।