নির্বাচনের বছরে চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ব্যবসাবান্ধব বিচক্ষণ বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এমসিসিআই)। একই সাথে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা করারও প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর ভবন মিলনায়তনে প্রাক বাজেট আলোচনায় এনবিআরের কাছে এ প্রস্তাব দেয় এমসিসিআই।
সভায় লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরে সংগঠনের সহ-সভাপতি গোলাম মাইনুদ্দিন বলেন: ‘বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থাপনার দিকে সরকারকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কারণ সব ব্যাংকই তারল্য সংকটে ভুগছে। এ অবস্থা থেকে ব্যাংকগুলোকে উত্তরণ না ঘটাতে পারলে বড় সমস্যায় পড়তে হবে।’
তিনি বলেন: ‘অর্থনীতির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে, যেগুলো সমাধান না হলে আগামী অর্থবছরে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। যেমন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রবণতা একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহও উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে। স্থানীয় শিল্পগুলো যে কর বৈষম্যের মুখোমুখি হচ্ছে তা দূর করতে হবে।’
গোলাম মাইনুদ্দিন বলেন: ‘অনেকে ভাবছেন, নির্বাচনী বছরে সরকার নির্বাচনমুখী বাজেট প্রণয়ন করবে। কিন্তু আমরা আশা করি, নির্বাচন বিবেচনা নয়, দেশের উন্নতির দিকে নজর রেখে চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকার একটি বিচক্ষণ বাজেট প্রণয়ন করবে।’
সংগঠনটির পক্ষে গত ৩ বছর ধরে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তা সাড়ে ৪ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়।
এরপর এমসিসিআইয়ের বিভিন্ন প্রস্তাব পর্যালোচনা করার আশ্বাস দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন: ‘নির্বাচনী বাজেট না হয়ে যেন জনকল্যাণমুখী বাজেট হয় আমরা সেদিকে লক্ষ্য রাখবো। নির্বাচন সামনে আছে বলেই যে বাজেট করবো এমন কোনো কথা নয়। বাজেটে হয়তো নির্বাচনী বছরের কিছু নির্বাচনী প্রতিফলন থাকবে, তবে বাজেট যাতে সুষ্ঠু হয় অর্থাৎ ফিসক্যাল পলিসিতে আমরা ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করবো।’
ভ্যাট আদায়ে ইসিআর মেশিনের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন: ‘সব ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসিআর মেশিন ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে ভ্যাট আহরণে যুগান্তকারি সফলতা পাওয়া যাবে। এতে হয়তো এক বছর সময় লাগতে পারে। সেজন্য ইসিআর মেশিনের সাথে এনবিআরের সংযোগ স্থাপন ও ব্রডব্যান্ড লাইন নিশ্চিত করা হবে।
সভায় এমসিসিআই নেতা সৈয়দ তারেক মোহাম্মদ আলী, হাসান মাহমুদসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।