বোমা রাখার সন্দেহে এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করতে গত মাসে গ্রিস থেকে ছেড়ে আসা রায়ানএয়ারের ফ্লাইটিকে বেলারুশের মিনস্কে নামাতে পাইলটকে বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সংস্থাটির প্রধান মাইকেল ও’লারি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রায়ানএয়ারের সিইও মাইকেল ও’লারি দাবি- সেই সময়ে পাইলট বিমান সংস্থাটির কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে কর্মকর্তারা মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে রায়নাএয়ারের ফোনের উত্তর দিচ্ছিলেন না।
ওই ঘটনাকে বৈশ্বিক বিমান বিধিবিধান ‘লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছিলেন তিনি।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বেলারুশ জানিয়েছে, বিমানটিকে জোর করে অবতরণ করা হয়নি।
গত ২৩ মে রায়ানএয়ারের ফ্লাইট এফআর৪৯৭৮ এথেন্স থেকে লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে যাচ্ছিল। কিন্তু লিথুনিয়া সীমান্তে পৌঁছানোর আগেই ফ্লাইটটিকে পূর্বদিকে ঘুরিয়ে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে নিয়ে আসা হয়। ফ্লাইটটিতে ১৭১ জন যাত্রী ছিল।
রায়ানএয়ার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বেলারুশের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি থাকার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে কাছের মিনস্ক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা বলা হয়।’
কিন্তু ফ্লাইটরাডার২৪ ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, লিথুয়ানিয়া পৌঁছানোর আগে উড়োজাহাজটি পূর্বে মিনস্কের দিকে ঘুরে যাচ্ছে। কিন্তু বিমানটি মোড় নেওয়ার ওই জায়গাটি থেকে গন্তব্যস্থল ভিলনিয়াস-ই বেশি কাছে ছিল।
রায়ানএয়ার জানায়, মিনস্ক বিমানবন্দরে তল্লাশির পর কিছু পাওয়া যায়নি। পাঁচ ঘণ্টা পর বিমানটিকে উড্ডয়নের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ফ্লাইট থেকে ২৬ বছয় বয়সী সাংবাদিক রোমান প্রোতেসেভিচকে আটক করে।
প্রোটাসেভিচ একজন সাংবাদিক, ব্লগার, ফটোগ্রাফার এবং আন্দোলনকর্মীও। ২০১৯ সালে প্রোটাসেভিচ বেলারুশ ছেড়ে চলে যান এবং ২০২০ সালে নেক্সটার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খবর সংগ্রহ করেন। এরপরই বেলারুশে তার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।