রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার ঘটনায় পঞ্চম দিনেও উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ইংরেজি বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা। হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি বিভাগের সামনে থেকে মৌন মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে সিনেট ভবনের সামনে রাস্তায় সমাবেশে অংশ নেন হাজার হাজার শিক্ষক ও শির্ক্ষাথী।
আন্দোলনের পাশাপাশি ক্লাস-পরীক্ষা চলবে বলে জানিয়েছেন তারা। শিক্ষক রেজাউল করিমের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা। সরকার ও প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েন শিক্ষকরা।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লা আল মামুন বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারের কাছে এই আবেদন করতে চাই, তারা সেই ব্যবস্থা নেবেন বিশ্ববিদ্যালয় যেনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চলতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যেন মুক্ত বুদ্ধির চর্চা করতে পারেন এবং সেই অধিকার যেন তাদের থাকে।
আর ত্রাসের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত চিন্তার চর্চা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পুলিশ প্রশাসন পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সুষ্ঠু তদন্ত করে অপশক্তিকে দমনে কাজ করছেন তারা, তবে কাউকে আতঙ্কিত না হওয়ারও আহ্বান জানান পুলিশ কমিশনার।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন বলেন, প্রফেসর সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ড এটা আমাদের সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে আর আমরা এই অপশক্তি দমনের জন্য আইনুনাগ কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি সবাইকে আতঙ্ক না হয়ে সাহসের সঙ্গে এ ঘটনা মোকাবেলা করার কথাও বলেন।
গত শনিবার মহানগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসভবনের কাছে শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।